Home / বিশেষ সংবাদ / ছোট একটি বিড়ালের তাণ্ডবে নাস্তানাবুদ পুলিশ – ভিডিও
cat.
ফাইল ছবি

ছোট একটি বিড়ালের তাণ্ডবে নাস্তানাবুদ পুলিশ – ভিডিও

পৃথিবীর অলিখিত কিছু নিয়ম হয়ে গেছে, পুলিশ ছুটবে চোরের পেছনে আর বিড়াল ইঁদুরের। কিন্তু যদি এর উল্টো হয় অর্থাৎ যদি পুলিশ ছুটে বিড়ালের পেছনে, তখন কেমন হবে?

এমনটাই ঘটেছে কয়েক দিন আগে, সুদূর নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে। হাইওয়ের সমস্ত ট্রাফিক থামিয়ে দেয়া বেয়াড়া এক বিড়ালের পেছনে ছুটল এক পুলিশ। নাস্তানাবুদ হয়ে শেষ পর্যন্ত হাতে পেয়েছে সেই বিড়ালের লেজ। আর তারপর তাকে পুড়েছে থানায়। আপাতত সেটাই তার ঠিকানা।

পুরো ঘটনা শুনুন। সাউথ-ওয়েস্টার্ন মোটরওয়ে থেকে ফোন পেয়েছিল পুলিশ- ‘‘কমলা-সাদা একটা তুলোর বল এখানে যা লাফঝাঁপ শুরু করেছে, যে কোনো সময়ে বিপত্তি ঘটবে!’’

অকল্যান্ড সিটি ডিস্ট্রিক্ট পুলিশের টহলদার গাড়ি তো চলে এলো প্রায় সাথে সাথে, কিন্তু কমলা-সাদা পোঁটলাটি গেলো কোথায়?

হঠাৎ অফিসারদের নজর গেল, হাইওয়ের দুই রাস্তার মাঝখানে কংক্রিটের পাঁচিলে সেঁটে রয়েছে সে। থাবার রঙ সাদা, গড়ন মাঝারি, চোখের রং নীলচে, কান খাড়া, লেজটা অবশ্য তেমন মোটা নয়। ‘ছানা’ বলাই চলে।

এক অফিসার এগোলেন সন্তর্পণে। কিন্তু হাজার হোক, বিড়াল! দু’পা যেতে না যেতেই সে দিলো ছুট। অবিরাম গাড়ির স্রোত বয়ে চলা রাস্তার তিনটে লেন পেরিয়ে গেল পরপর। ‘গেল গেল’ রব উঠল, আবার গাড়ির তলায় না চলে যায়! হলো না কিছুই।
শেষমেশ পুলিশকে হাইওয়ের একটা অংশ বন্ধই করে দিতে হলো। পালাবার পথ নেই। তবু মরিয়া চেষ্টা!

পুলিশে-বিড়ালে খানিক ছোটাছুটির পরে জিতল পুলিশই। আসামিকে তোলা হল গাড়িতে। ছবি উঠল। এই ফাঁকেই ওই অফিসার একটা ফোন করছিলেন। ফোনটা রেখেই তিনি দেখলেন- পাখি উড়েছে! গাড়ি ফাঁকা।

গাড়ি ছুটল থানায়। সেখানে আর এক প্রস্ত খোঁজাখুঁজি। ‘ধৃত’ তো গাড়ি থেকে নামেনি। তা হলে গেলটা কোথায়? সবাই যখন হাল প্রায় ছাড়বে ছাড়বে করছে, এমন সময়ে ক্ষীণকণ্ঠে ‘মিয়াও’!

ড্যাশবোর্ডের ভেতর থেকেই আসছে আওয়াজটা। বোলাও তবে মিস্ত্রি। গাড়ির ড্যাশবোর্ডটা পুরো খুলে ফেলতে দেখা গেল, হিটিং ফ্যানের পাশে গুটুলি পাকিয়ে মায়া মায়া চোখে চেয়ে আছে দুষ্টোটা!

বেয়াড়া বিড়ালকে হাইওয়ের যে জায়গাটা থেকে গাড়িতে তোলা হয়েছিল, সেখান থেকেই একটা রাস্তা নেমে গিয়েছে অকল্যান্ডের মাইওরো এলাকায়। পুলিশই তাই আসামির নাম রেখেছে ‘মাইওরো’।

ফেসবুকে গোটা পর্বের বিবরণ দিয়ে লিখেছে, ‘‘মাইওরো ভালো আছে। আস্তে আস্তে চাঙ্গা হয়ে উঠছে। আশা করা যায়, দ্রুতই ওকে ছেড়ে দেয়া যাবে- ওর নিজের জগতে!’’