শাহরাস্তিতে পুত্রের মেহেদীর রং লাগানোর অপরাধে জীবন গেলো এক পিতার। শনিবার ( শাহরাস্তির উপজেলার সূচিপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, শাহরাস্তির উপজেলার চিতোষী পশ্চিম ইউপির খেড়িহর সোনারগাঁও গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) পুত্র মোঃ সোহেল গত ররিবার একই গ্রামের তার বন্ধু মানিকের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে যায়।
সেখান থেকে সোহেল মেহেদী হাতে নিয়ে পাশ্ববর্তী ইউপির নরিংপুর বাজারে গুরতে এলে, সেখানে আড্ডার সময় ভুলবশত ওই এলাকার জনৈক আরিফের গায়ে ‘মেহেদী’ লেগে যায়। এতে আরিফ ও তার বন্ধুরা চটে যায়।
ক্ষীপ্ত হয়ে নরিংপুর গ্রামের মনোহর পুরের ৮/৯ জনের এক দল লোক সোহেলকে ‘হুমকি ধমকি’ দিয়ে বেধম ‘প্রহার’ করে। ওই ঘটনায় দুই ইউনিয়নের নরিংপুর ও খেড়িহর গ্রামে ২ দিন যাবৎ দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে।
সে সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১ টায় নরিংপুর মনোহরপুর গ্রামের চেড়িয়া বাড়ীর সোহাগ, তুহিন, আরজু, আরিফসহ ১৫/২০ জনের সংর্ঘবদ্ধ এক দল যুবক দেশিয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে সোনারগাঁও অলি বাড়ীর সামনে এসে মহড়া চালিয়ে ও জাহাঙ্গীর আলমের পুত্র সোহেলকে খোঁজতে থাকে।
ওই দৃশ্য দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা ভয়ে পালিয়ে যায়। তখন আগত সোহাগ গংরা আব্দুল মান্নানের চায়ের দোকানে ঢুকে সোহেলের পিতা জাহাঙ্গীর আলমকে বেধম প্রহার করে রেখে যায়।
এ অবস্থায় স্থানীয় লোকজন জাহাঙ্গীর আলমকে উদ্ধার করে খেড়িহর বাজারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। এর একদিন পর শনিবার জাহাঙ্গীর আলম দক্ষিণ সূচিপাড়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে অসুস্থ হয়ে রাস্তায় লুটে পড়েন।
ওই সময় পথচারীরা তাকে উদ্ধার নরিংপুর বাজারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার সময় তার অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত শাহরাস্তি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ঔই সময় কর্তব্যরত ডা. অচিন্ত্য (আর এমও) তাকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনা চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে নিহতের স্বজনরা তার মৃত্যুর জন্য দুর্বৃত্তদের দায়ী করে।
পরে শাহরাস্তি মডেল থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার চাঁদপুর হাসপাতালের মর্গে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করে।
এ ব্যাপারে শাহরাস্তি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান জানান, ‘প্রাথমিকভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। ময়না তদন্তের রির্পোট পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১:০০ এএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬, রোববার
ডিএইচ