মগবাজার বিস্ফোরণে নিহত চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার চিতোষী পূর্ব ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের ওসমান গণী তুষারের বাড়িতে শোকের মাতম চলছে।
২৯ জুন মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় স্ত্রী মৌসুমী বার বার মুর্ছা যাচ্ছেন। মা তাসলিমা বেগম ও বোনদের আহাজারিতে পরিবেশ ভারি হয়ে আসছে।
জানা যায়, ঢাকার মগবাজারের বিস্ফোরণে নিহত ওসমান গণী তুষার মগবাজারের শর্মা হাউসে কাজ করতেন। এ সময় শিশু কন্যা সুবাহানা তাইয়েবাসহ শর্মা হাউসে আসা লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার জান্নাতও নিহত হন। পরদিন সকালে একই গাড়িতে তুষারের লাশ গ্রামের বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে রামগঞ্জের ভাটরায় নিয়ে যাওয়া হয় জান্নাত ও সুবহানার লাশ।

তুষারের মামা ফেরুয়া গ্রামের মোঃ আলী হোসেন জানান, তুষার একজন হাফেজ ছিলেন। সে শর্মা হাউসে কাজ করতো
বড় বোন তাহমিনা আক্তার নাজনীন (২৬) জানান, মাত্র ৮ মাস আগে তুষার বিয়ে করেছেন। তুষারের স্ত্রী ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
পিতা আনিসুর রহমান নয়ন জানান, আমি আগে প্রবাসে ছিলাম, বর্তমানে বেকার। তুষারই আমার সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম। কয়েক মাস আগে তুষার আমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে অপারেশন করিয়েছিল।
তুষারের মা তাসলিমা বেগম বলেন, রমজানের ঈদের ছুটি শেষে তুষার ঢাকা গিয়েছে। লকডাউনে আসার কথা ছিল। তুষার আমাকে আর মা বলে ডাকবে না।
তুষারের স্ত্রী মৌসুমী আক্তার বলেন, ঘটনার দিন বিকেল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভিডিও কলে তুষার আমার সাথে সংযুক্ত ছিলো। এটাই শেষ কথা হবে ভাবতে পারিনি।
শ্যামপুর গ্রামের বাসিন্দা নোয়াখালীর সপ্তগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান আনসারী জানান, তুষার একজন বিনয়ী ও সজ্জন যুবক ছিল। তার মৃত্যুতে গোটা গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
প্রতিবেদকঃ মোঃ জামাল হোসেন,২৯ জুন ২০২১
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur