ছাত্রীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক ও পর্নোগ্রাফির মামলার পৃথক ধারায় কুষ্টিয়ার সেই পান্না মাস্টারকে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে আড়াই লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
কুষ্টিয়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক বেগম মাহমুদা খাতুন বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় এ রায় দেন।
মামলায় অপর তিন আসামি প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুল, মনোয়ার হোসেন মনো ও আওলাদ হোসেন দুলালকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়ার বারখাদা আদর্শ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হেলাল উদ্দিন পান্না বিদ্যালয় এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে প্রাইভেট পড়ানোর সময় বেশ কয়েকজন ছাত্রীর সাথে কৌশলে যৌন সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরে সেই চিত্র গোপন ক্যামেরায় ধারণ করে তা ফাঁস করে দেওয়ার কথা বলে ওই ছাত্রীদের অন্যদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করাতে বাধ্য করতেন।
এ ঘটনায় এক ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে ছাত্রীর ভাই ও এলাকাবাসী ২০১৩ সালের ১৫ জুন পান্না মাস্টারকে তার ভাড়া বাসায় আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে পান্না মাস্টারের ধারণ করা কয়েক ছাত্রীর সঙ্গে নিজেরসহ আসামিদের যৌন সম্পর্কের ভিডিওচিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে।
গণধোলাইয়ের পরদিন পুলিশ পর্নোগ্রাফি আইনে পান্নাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করে। পরে তাদের গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
এদিকে, রায়ে সন্তুষ্ট হতে পারেননি সরকারি পক্ষের আইনজীবীরা। কুষ্টিয়া জজকোর্টের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আসাদুজ্জামান মামুন বলেন, ‘এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট হতে পারিনি। আমরা মামলার বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করে দেখছি।’
রায় কার্যকরের বিষয়ে আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অর্ণব কুমার নন্দী বলেন, ‘পান্না মাস্টারের বিরুদ্ধে করা এক মামলায় পৃথক ধারায় পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পৃথক ধারার একটিতে দেড় লাখ ও আরেকটিতে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ছয় মাস করে এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই দণ্ডাদেশের একটি কার্যকরের পর আরেকটি কার্যকর করা হবে। সেক্ষেত্রে তাকে ১০ বছর কারাগারে থাকতে হবে।’
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur