ছাত্রীকে ধর্ষণের পর ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি

চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক | আপডেট: ০৮:২৬ অপরাহ্ণ, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫, শুক্রবার

পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের পর উলঙ্গ করে ছবি তুলে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়ার অপরাধে গাইবান্ধায় এক মাদ্রাসা শিক্ষককে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। বর্বর এই ঘটনা ঘটেছে গাইবান্ধা সদর উপজেলার খোলাহাটি ইউনিয়নের পুর্ব কোমরনই ছয়ঘরিয়া গ্রামে ।

প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, ছয়ঘরিয়া গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে। সে বাড়ির পাশের খোলাহাটি ফোরকানিয়া সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসার ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী। দেখতে শুনতে সুন্দরী বলে ওই মাদ্রাসার লম্পট শিক্ষক শফিকুল ইসলাম শফি তাকে বিনা পয়সায় প্রাইভেট পড়ানোর কথা বলে ছাত্রী লিজার বাড়িতে নিয়মিত শুরু যাতায়াত করে।

তারপর বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে প্রাইভেট পড়ানোর কথা বলে শিক্ষার্থীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করে । তারপর ওই লম্পট শিক্ষক ছাত্রীকে ধর্ষণের চিত্র ধারণ করে মোবাইল ফোনে।

ধর্ষণের চিত্র ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে শিক্ষার্থীকে তার বাড়িতে পড়ানোর নাম করে এবং বিভিন্ন স্থানে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করতো। মোবাইল ফোনে সেই ধর্ষণের ভিডিও ছবি তুলে রাখেন ।

শুক্রবার শিক্ষক শফিকুর রহমান সফি তার ভাবী মেরিনার বাড়িতে কৌশলে ওই ছাত্রীকে ডেকে নেয়। তারপর ওই কিশোরীকে উলঙ্গ করে মোবাইলে ভিডিও করতে থাকে। এসময় বিষয়টি আশে পাশের লোকজনের নজরে আসে। তারা ওই ঘর থেকে কিশোরীকে উদ্ধার ও শিক্ষককে আটক করে।

আটকের খবর পেয়ে শিক্ষকের লোকজন এসে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে বিক্ষুদ্ধ গ্রামবাসী গাইবান্ধা সদর থানায় খবর দিলে পুলিশ ধর্ষিতা কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। নিরাপত্তা ও তদন্তজনিত কারনে কিশোরী ও তার মাকে রাতভর থানায় রাখেন ।

ধর্ষিতার মা রেজিয়া বেগম ও পিতা আবুল কালাম জানান, যৌন ছবি ভিডিও ছবি ধারণ করে আমার মেয়ের সর্বনাশ করেছে যে শিক্ষক আমি তার বিচার চাই।

অপরদিকে ধর্ষক শিক্ষকের বিচারদাবীতে ফুসে উঠেছে এলাকাবাসী। জরুরীভাবে মাদ্রাসা চত্তরে কমিটির সভা আহবান করা হয়। সভায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ প্রমানণত হওয়ায় তাকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়।

এব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করা হলেও পুলিশ মামলাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে মামলার বিষয়বস্তু পরিবর্তন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তারপরও পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করতে পারেনি ।

 

চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/ এমআরআর/২০১৫

Share