কচুয়া

কচুয়ায় ছাত্রলীগ নেতা ওপর হামলার ঘটনায় মানববন্ধন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মেধাবী ছাত্রনেতা ও ঢাবি’র একখন্ড ডাকাতিয়ার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো: হাসান জাহাঙ্গীর সুজন নিজ এলাকা চাঁদপুরের কচুয়ায় মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধনে ফুসেঁ উঠেছে এলাকাবাসী ও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।

৪ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকালে কচুয়া উত্তর বাজারস্থ পল্টন ময়দানে আওয়ামী পরিবারের ব্যানারে বিশাল মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, পৌর কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র কামাল হোসেন অন্তর,নব নির্বাচিত কাউন্সিলর মাসুদ আলম প্রধান,৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমিনুল হক মিয়াজী,উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বোরহান উদ্দিন,সাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মানিক মজুমদার সোহাগ,কড়ইয়া ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক তারেক শাম্স মিঠু,যুবলীগ নেতা গাজী ফারুক প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা ছাত্রলীগ নেতা হাসান জাহাঙ্গীর সুজনের উপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান। পাশাপাশি সকল আসামীদের দ্রæত গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি জানান।

প্রসঙ্গত , গত ১৬ ফেব্রুয়ারি পৌর নির্বাচনের দু’দিন পর কচুয়ার কোয়া গ্রামের হাবিব খান মাদকসহ স্থানীয় কড়ইয়া গ্রামে যুবকদের হাতে আটক হয়। এসময় স্থানীয় কাউন্সিলর আমিনুল হক মিয়াজী ও ছাত্রলীগ নেতা হাসান জাহাঙ্গীর সুজন মাদকসহ আটক হাবিব খানকে জনতার রোষানল থেকে উদ্ধার করে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় পুলিশ হাবিব খানকে মাদক মামলায় আসামী হিসেবে জেলহাজতে প্রেরণ করলে কিছুদিন পর হাবিব জেল থেকে বের হয়ে বুধবার রাতে হাসান জাহাঙ্গীর সুজনকে কড়ইয়া কেইআইডিপি এলাকায় রাস্তায় একা পেয়ে তার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।

এ ঘটনায় তার বড় ভাই কচুয়া বাজারের সাজেদা মেডিকেলের পরিচালক ইলিয়াছ হোসাইন মুন্না বাদী হয়ে ৫জনকে আসামী করে কচুয়া থানায় একটি মামলা (১০) দায়ের করে। ওই মামলায় পুলিশ হাবিব খান,আহাদ খান ও এলাহীকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করে।

কচুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, ছাত্রলীগ নেতা হাসান জাহাঙ্গীর সুজনের উপর হামলাকারীদের মধ্যে ৩জনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেফতারের প্রচেষ্টা চলছে।

৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো: আমিনুল হক মিয়াজী বলেন, প্রথম ঘটনার দিন কিছু লোকজন হাবীব খান নামের এক যুবককে ইয়াবাসহ আটক করে আমাকে জানান। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসলে স্থানীয় লোকজন উত্তেজিত হয়ে হাবিব খানকে মারধরের চেষ্টা করে। পরে আমরা স্থানীয়দের রোষানল থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশে সোপর্দ করি।

এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে হাবিব খান জেল থেকে বেরিয়ে এসে ছাত্রলীগ নেতা হাসান জাহাঙ্গীর সুজনকে মারধর করে। মূলত হাসান জাহাঙ্গীর সুজন খুবই ভালো ছেলে। আসামীরা বর্তমানে আমার পরিবারকে প্রাননাশের হুমকি-ধমকি দিচ্ছে বলেও কাউন্সিলর আমিনুল হক মিয়াজী দাবি করেন।

কচুয়া প্রতিনিধি,৫ মার্চ ২০২১

Share