শাহরাস্তি

ছাত্রলীগ নেতা মরহুম রাসেল পরিবারের পাশে ইঞ্জি. সফিক

চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার কাদরা গ্রামের সন্তান ছাত্রলীগ নেতা রাসেল সরকারের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার মো. সফিকুর রহমান।

গত ৮ নভেম্বর বুধবার রাত ৮:১৫ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ২৮ বছর।

নিম্ন-মধ্যবিত্ত বাবা নূরুনবী মিয়ার তিন ছেলে-মেয়ের মধ্যে রাসেল ছিলেন সবার বড়। তাঁর অনেক স্বপ্ন ছিল পড়ালেখা করে তিনি একদিন অনেক বড় হবেন। তাই নিজ চেষ্টায় অনেক দুঃখ-কষ্টে বালাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির পাশাপাশি ঢাকাস্থ কবি নজরুল কলেজ হতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়ে পড়া-লেখার পাঠ চুকিয়ে চাকুরির চেষ্টা করছিলেন তিনি। মা গত হয়েছেন বেশ কিছু কাল আগেই। সংসারে বাবা ও ছোট দুই ভাই-বোন। সংসার, বাবা ও ছোট ভাই-বোনের দায়িত্ব নিতে নিজেকে তৈরি করছিলেন রাসেল ।
বাবা ও ভাই-বোনের আশা ছিল শীঘ্রই রাসেল তাদের অনেক স্বপ্ন পূরণ করতে পাশে দাঁড়াবেন। কিন্তু প্রকৃতির নির্মম পরিহাস সকল স্বপ্নকে স্বপ্নই রেখে গত ৮ নভেম্বর বুধবার রাত ৮:১৫ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফিরার দেশে চলে গেলেন রাসেল ।

রাসেলের অকাল মৃত্যুতে পরিবারটি হয়ে পড়েন বড় অসহায়। পরিবারের এমনই অসহায় অবস্থায় পার্শে দাঁড়ালেন হ্যামস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক চাঁদপুরের শাহরাস্তি-হাজীগঞ্জের কৃতি সন্তান ইঞ্জিনিয়ার মোঃ সফিকুর রহমান। তিনি ঘোষণা করেন মরহুম রাসেল মিয়ার ছোট ভাই জাহিদুল ইসলাম তুহিনকে এখনই হ্যামস গ্রুপে তার যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি দিবেন । এছাড়া তার ছোট বোনের কলেজে পড়া-লেখাসহ যাবতীয় খরচ বহন করে মরহম রাসেলের স্বপ্ন বাস্তবায়নে তার পরিবারের পাশে থাকার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন ।

প্রসঙ্গত, গত ১৭ নভেম্বর শুক্রবার বাদ জুমা রাসেল এর গ্রামের বাড়ি কাদরায় তাঁর পরিবার, বন্ধু, রাজনৈতিক সহকর্মী ও শুভার্থীদের সমন্বয়ে রুহের মাগফিরাত কামনায় এক মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

উক্ত মিলাদ মাহফিলে ইঞ্জিনিয়ার মো. সফিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। মিলাদ অনুষ্ঠানে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার মোঃ সফিকুর রহমান মরহুম রাসেল মিয়ার আত্মার শান্তি কামনা করে সবাইকে দোয়া করার অনুরোধ করেন।

বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন রাসেলের অকাল মৃত্যুতে তাঁর পরিবার আজ অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন যা কোনভাবেই পূরণ হওয়ার নয় । পরিবারটি এখন একেবারে অসহায় হয়ে পড়েছে। আমরা যারা তাঁর বন্ধু ও শুভার্থী আছি চেষ্টা করলে হয়তো আমরা তার পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারি। মিলাদ শেষে মরহুম রাসেল মিয়ার আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া করা হয় ।

উক্ত মিলাদ অনুষ্ঠানে শাহরাস্তি-হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অসংখ্য নেতা-কর্মী ও তাঁর আত্মীয়স্বজন উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবেদক- জহিরুল ইসলাম জয়
: পডেট, বাংলাদেশ ০৯ : ০৩ পিএম, ১৯ নভেম্বর, ২০১৭ রোববার
ডিএইচ

Share