চাঁদপুরে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত ৭০ পরিবারকে নিয়ে স্মরণে স্মরনসভা ও আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকেলে চাঁদপুর আউটার স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদের উদ্যোগে জেলায় গণ অভ্যুত্থান আহত ৩৯ জনের প্রতিজনকে ৭ হাজার ও শহীদ পরিবারের ৩১জনের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে মোট ৭১ জনকে ৮লাখ ৯৩ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।
এতে প্রধান সভাপ্রধানের বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদের প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।
এসময় তিনি বলেন, প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল গুলো ছাত্রদের এই আন্দোলনের ত্যাগের কথা স্কীকার করেন। আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছে, বা আহত হয়েছে। আপনাদের সেই ক্ষতিটা পুষিয়ে দেয়ার মতো কিছুই নেই। তবুও আমি চেষ্টা করি যে কোনো ইসুতে ছাত্রদের সহযোগিতা করতে।
তিনি বলেন, শহীদদের তালিকাটা সহজে করা হলেও আহতদের তালিকা ২০০ মতো করতে পেরেছি। এ বিষয়ে আপনারা আমাদেরকে সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবেন। শহীদ পরিবারের যারা এসেছেন। তারা আমার তালিকার বাহিরে কোন কিছু করার সুযোগ নেই। শহীদ পরিবার ৩০ লাখ করে টাকা পাবেন। আপনাদের সে টাকাটা হয়তো আজীবন থাকবেনা। তাই সরকার চিন্তা করেছেন আপনাদের নামে একটি সঞ্জয় করবেন। এতে আপনারা প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে লাভাংস পাবেন। তাই সরকারের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পেতে হলে, আপনাদের সঠিক কাগজ পত্র আমাদেরকে দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ছাত্ররা আন্দোলন করে বিজয় এনেছে দেশটাকে বদলানোর জন্য। তাই আমাদের সবাইকে বদলাতে হবে। মনের ফ্যাসিবাদকে দুর করতে হবে। ছাত্ররা এখনো সোচ্চার। কারন তারা যা চেয়েছে তা এখনো হচ্ছেনা। একটা সময় তারা তাদের জায়গায় ফিরে যাবে। তারা চায় সুন্দর একটি বাংলাদেশ গড়ে উঠুক। তাই ছাত্রদের সাথে আমাদের সকলের সহযোগিতায় সুন্দর একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।
চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শওকত জামিল সৈকতের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার আবদুর রকিব, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মনোয়ার হোসেন, গণফোরামের সভাপতি এডভোকেট সেলিম আকবর, চাঁদপুর জেলা জামায়াতের আমির এডভোকেট শাহজাহান মিয়াসহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
এই সময় বক্তারা জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের প্রতি এক মিনিট নীরবতা পালন ও স্মৃতিচারণ করেন।
প্রতিবেদক: কবির হোসেন মিজি, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫