Sunday, 10 May, 2015 03:07:17 PM
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা :
বর্ষবরণের দিনে টিএসসি চত্বরে নারী লাঞ্ছনার ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের (ডিএমপির) কার্যালয় ঘেরাও করতে গেলে পুলিশি বাধার মুখে এগুতে পারেনি ছাত্র ইউনিয়নসহ কয়েকটি প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন। পুলিশ বেধড়ক লাঠিপেটা করে তাদের হটিয়ে দিয়েছে। এ সময় অন্তত ২০ জন আহত হন। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন ছাত্রীও রয়েছেন।
আহতরা হলেন- সংগঠনটির সভাপতি লিটন নন্দী, দীপক, জিলানী, নির্জন, জামান, তারেক, ইসমত জাহান, তন্ময়, আশিকুর রহমান আশিক, রাকিবুজ্জামান, অমিত ও মো. শাহরিয়ার। বাকিদের নাম-পরিচয় আপাতত জানা যায়নি। আহতদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংগঠনটির সভাপতি লিটন নন্দী চাঁদপুর টাইমসকে জানান, রবিবার দুপুরে ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রফ্রন্ট ও ছাত্র সমাজের নেতা-কর্মীরা মধুর ক্যান্টিন থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের (ডিএমপির) সদর দপ্তরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। প্রথমে তাদেরকে দোয়েল চত্বরের সামনে আটকে দেয় পুলিশ। এ সময় তারা স্মারকলিপি দেয়ার কথা বলে মৎস্যভবন হয়ে মিন্টো রোডের দিকে অগ্রসর হলে পুলিশ বাধা দেয়। এক পর্যায়ে জলকামান ও টিয়ারশেল ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালায় পুলিশ। পাল্টা ছাত্ররাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে। শুরু হয় সংঘর্ষ।
এ ব্যাপারে রমনা অঞ্চলের পুলিশের উপ-কমিশনার আবদুল বাতেন চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, প্রথমে আমরা তাদেরকে মৎস ভবনের সামনে আটকিয়ে দেই। পরে তারা অফিসার্স ক্লাবের সামনে আসে। এ সময়ে আমরা তাদেরকে বলি আপনাদের প্রতিনিধিদেরকে কমিশনার অফিসে পাঠান। কিন্তু তারা দাবি করে, কমিশনার এখানে এসে আমাদের কথা শুনবে। এক পর্যায়ে তারা পুলিশের ওপরে হামলা শুরু করে। পরে আমরা লাঠিচার্জ ও জলকামান ব্যবহার করে তাদেরকে নিবৃত করি।
চাঁদপুর টাইমস- এএস/ডিএইচ/২০১৫ইং।