চাঁদপুর রেল স্টেশনে সুভাস ছড়ানো ছাতিম ফুলের হাঁসি

অনেক চিরসবুজ বৃক্ষ ও ভেষজ গাছেরর জাত হলো ছাতিম গাছ। শীতে যখন ফাগুনের অপেক্ষায় অধিকাংশ গাছ তার পাতা ছেড়ে দেয় ঠিক তখনি এটি তার সুগন্ধিযুক্ত সাদা ফুলের সমারোহ ছড়িয়ে দেয়। সাদা ফুলে ভরা গাছটি স্থানীয় মানুষের কাছে ‘ছাইতান বা ছাইতানা’ নামে পরিচিত।

এ গাছের গড় উচ্চতা ৪০ থেকে ৫০ ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে। শীতের শুরুতেই এর ফুল ফুটতে শুরু করে।

রাতের বেলায় বাতাসে ছাতিম ফুলের মৌ মৌ সুবাস ছড়িয়ে পড়ে। সেই ফুলের সুবাসে মুগ্ধ পথচারী। প্রস্ফূটনের এমন অবারিত উচ্ছ্বাস, ফুলের অক্লান্ত নির্ঝর এবং দূরবাহী প্রবল উগ্র গন্ধের ঐশ্বর্য আর কোন হৈমন্তী তরুরই নেই।’ হেমন্তে শুভ্র-সফেদ ফুলে ঢাকা এমন মোহনীয় অবস্থা বাংলাদেশের অতীত ঐতিহ্য।

গাছভরা ছাতিম ফুল দেখে চোখ জুড়ায় পথচারী ও স্টেশনে অপেক্ষারত যাত্রীদের। তবে এমন ফুলের মেলা শহরে খুব কম এলাকাতেই দেখা যায়।

একসময় গ্রামের রাস্তার পাশে, বনে-জঙ্গলে অহরহ এই গাছ থাকলেও বর্তমানে খুব একটা খুঁজে পাওয়া যায় না। দূর থেকে ভেসে আসা সুগন্ধ শুঁকে গাছটি খুঁজে নিতে হয়।

সাদা ফুলে ফুলে সমারোহ এমনই একটি ছাতিম গাছ চাঁদপুর রেলওয়ে কোট স্টেশনের বুক জুড়ে রয়েছে। তবে দিনের বেলায় এই গাছটির ফুলের সৌন্দর্য চোখ পড়লেও রাতের বেলায় শুধু তার মন মাতানো সুভাস ছড়ায়।

চিরসবুজ এই ছাতিম গাছ শুধু ফুল দিয়ে সৌন্দর্য আর সুভাসই ছড়ায়না বরং এই গাছের পাতা বিভিন্ন রোগের জন্য ঔষধী গাছ হিসেবেও ব্যবহার হয়ে থাকে।

১২ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে ছবিটি তুলেছে চাঁদপুর টাইমসের সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেন্ট কবির হোসেন মিজি।
আরও পড়ুন : তেজপাতা পোড়ালে শান্ত মন মাথা

Share