বুড়িগঙ্গার সাড়ে ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ আদি চ্যানেল পুনরুদ্ধার করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ডিএসসিসি
পুরান ঢাকার মুসলিমবাগে আদি চ্যানেলটির শুরু থেকে রায়ের বাজার বেড়িবাঁধ সড়কের পশ্চিম পাশের খাল দিয়ে বুড়িগঙ্গা পর্যন্ত সংযুক্ত করা হবে। চ্যানেলের দু’পাশে দৃষ্টিনন্দন সবুজ উন্মুক্ত স্থান ও বিনোদন স্পট তৈরি করা হবে।
একই সঙ্গে এর দু’পাশের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে পর্যাপ্ত সংখ্যক ব্রিজ, ওভারপাস তৈরি করা হবে। চ্যানেলটি উদ্ধার হলে রাজধানীর বড় একটি অংশের পানি নিষ্কাশন সমস্যার সমাধান হবে।
অবহেলিত কামরাঙ্গীরচর, ইসলামবাগ, লালবাগ, হাজারীবাগ এলাকার পরিবেশের উন্নয়ন ঘটবে এবং অধিকতর বাসযোগ্য হবে।
প্রায় সাড়ে ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এ চ্যানেলের পুনরুদ্ধারে জমি অধিগ্রহণ, চ্যানেল খনন, অবকাঠামো উন্নয়ন, ব্রিজ, ওভারপাস নির্মাণসহ সার্বিক উন্নয়ন কাজের সম্ভাব্য ব্যয় চিন্তা করা হচ্ছে অন্তত ৫ হাজার কোটি টাকা।
কম জমি অধিগ্রহণ করে বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল পুনরুদ্ধার করতে চায় ডিএসসিসি। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য মিলিটারি ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিকে (এমআইএসটি) দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
ইতোমধ্যে তারা ডিএসসিসির কাছে একটি খসড়া প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছে। প্রকল্প বিষয়ে ডিএসসিসির প্রকৌশলী, পরিকল্পনাবিদসহ সংশ্লিষ্টরা তাদের চিন্তা ও মতামত দিয়েছে। এমআইএসটি ডিএসসিসির ইচ্ছা ও উদ্দেশ্যের আলোকে প্রকল্পের নকশা প্রণয়নের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
দ্রুততম সময়ের মধ্যে তারা প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই-বাছাই করে ডিএসসিসির কাছে হস্তান্তর করবে। এর ওপর ভিত্তি করে ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রোফাইল (ডিপিপি) প্রস্তুত করবে ডিএসসিসি।
এ প্রসঙ্গে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘রাজধানীর পানি নিষ্কাশন সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে ডিএসসিসি বেশ কিছু খালের আধুনিকায়ন করবে। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল পুনরুদ্ধারে আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। দায়িত্ব নেয়ার পর বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল পায়ে হেঁটে ঘুরে দেখেছি। এখন এমআইএসটিকে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করা হয়েছে। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল পুনরুদ্ধারে কাজ করা হবে।’
বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘ডিএসসিসির মেয়রের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। এমন উদ্যোগ আরও আগে নেয়া দরকার ছিল। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ঢাকার বড় অংশের পানি নিষ্কাশন সমস্যার সমাধান ঘটবে।
ঢাকা ব্যুরো চীফ, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০