কমে এসেছে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশীদের ভারতে পাড়ি জমানোর ঘটনা। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির উন্নতির কারণে কাজের সন্ধানে সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়া আর লাভজনক নয়।
একারণেই সে প্রবণতা কমেছে। এমন মন্তব্য করেছে ভারতেরই অনলাইন পত্রিকা ‘দ্য কোয়েন্ট’। ‘বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কে অবৈধ অভিবাসন কেন আর আগের মতো বড় সমস্যা নয়’ এই শিরোনামে অনলাইন পত্রিকাটিতে মায়াঙ্ক মিশ্র এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলেছেন।
এই যুক্তির সপক্ষে প্রতিবেদনে স্থানীয় অধিবাসীদের সাক্ষাৎকারের পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশের পশ্চিম সীমান্ত সংলগ্ন ভারতের জেলাগুলোতে গত এক দশকে তার আগের দশকের তুলনায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমে আসা এবং বাংলাদেশের পশ্চিম সীমান্তবর্তী তিনটি জেলায় একই সময়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বেড়ে যাওয়ার তথ্য ও উপাত্ত যুক্ত করেছেন।
তবে, একই সময়ে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির উন্নতির পরিমাপ আগের দশকের চেয়ে কত বেশি সেই তথ্য ও উপাত্ত যোগ করেননি।
প্রতিবেদনে যে সব কারণ তুলে ধরা হয়েছে:
সীমান্তে কড়া নিরাপত্তা : দুই দেশের সীমান্তে বেড়া দিয়ে কড়া নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। মুর্শিদাবাদের কাছে ও সীমান্তবর্তী এলাকায় এই বেড়ার মাধ্যমে দুই দেশের জনগণকে আলাদা করা হয়েছে।
অভিবাসনের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলা : আগে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের বাংলাদেশ ত্যাগ করে অবৈধভাবে ভারত চলে যাওয়ার প্রবণতা ছিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করলেও, এই প্রবণতা কমেছে বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু তার পিছনে কারণগুলো কী, তার উল্লেখ নেই।
বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধ অভিবাসন আগের চেয়ে কম হলেও তা অব্যাহত আছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এই মন্তব্যের সপক্ষে অবৈধ অভিবাসনের কোন তুলনামূলক পরিসংখ্যান নেই এই প্রতিবেদনে।
জনসংখ্যা বৃদ্ধি হ্রাস : বাংলার ছয় সীমান্তবর্তী বিভাগে গত কয়েক দশকে উল্লেখযোগ্য হারে জনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। যেমন ২০১১ সালে দক্ষিণ ২৪ পরগণায় জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার ছিল ২৩ শতাংশ সেটি কমে ১২ শতাংশে নেমে এসেছে।
একইভাবে উত্তর দিনাজপুরে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২২ শতাংশ থেকে কমে ১২ শতাংশের কমে এসে দাঁড়িয়েছে। পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র থেকে অভিবাসীর প্রবাহ থাকলে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার এই পরিমাণে হ্রাস পেত না।
বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও একই চিত্র পাওয়া যায়। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। যার ফলে বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অভিবাসী ভারতে আসছে না।
নিউজ ডেস্ক : আপডেট ৭:০০ এএম, ১২ মে ২০১৬, বৃহস্পতিবার
ডিএইচ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur