চাঁদপুর শহরের মঠখোলা এলাকায় চৈত্র সংক্রান্তি নামে মেলার চারপাশে চলছে জমজমাট জুয়ার আসর। এ মেলা আগামী বছর গুলোতে জুয়াড়িদের কাছ থেকে রক্ষা করতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
বাংলা পঞ্জিকার নিয়ম অনুসারে প্রতি বছরের ২৯ চৈত্র (মঙ্গলবার) চাঁদপুর শহরের মঠখোলা এলাকায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ১ দিনের জন্য এ মেলাটি অনুষ্ঠিত হয়।
বরিশাল থেকে আসা আজগর, চাঁদপুর শাহরাস্তি থেকে আসা রনজিৎ, ভোলা থেকে আসা তাপস, জাকিরসহ মেলায় আসা কয়েকজন ব্যবসায়ী জানায়, বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানের মেলায় আমরা ব্যবসা দিয়ে থাকি। চাঁদপুর মঠখোলার চৈত্র সংন্তির এ মেলা অনেক জনপ্রিয় একটি মেলা। আমাদের দাদা-বাবা ও এ মেলায় ব্যবসা করেছেন।
আবিদ আলী, জাহাঙ্গির, তালেব আলীসহ কয়েকজন এলাকাবাসী জানায়, নতুন বর্ষকে বরন করার পূর্বে বাংলা পঞ্জিকার নিয়ম অনুসারে ২৯ চৈত্র মেলাটি হয়ে থাকে। মেলাটি ১ দিনের জন্য হলেও দেখার জন্য এবং কেনাকাটা করতে লোকজন তাদের পরিবার নিয়ে আসত। মেলার সাথে অনেক লোকজন মাজার জিয়ারত করত ও এলাকার সেই সুনাম ধন্য মঠ দেখতে আসত। তা নানা সমস্যায় এখন নেই বললেই চলে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছিুক আরোও কয়েকজন এলাকাবাসী জানায়, বাংলা পঞ্জিকার ২৯ চৈত্র মেলার ঐতিহ্য’র নামে মাত্রই। ১ দিনের এ মেলাটি চলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মঠখোলার রাস্তা জুড়ে।
আর মেলার চারপাশের বাগান, ফসলের ক্ষেত, খোলা মাঠ, বাড়ির আঙ্গিনাসহ বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় কিছু জুয়াড়ীরা তাবু টানিয়ে ছোট থেকে বয়স্ক বহিরাগত জুয়াড়ীদের খেলার আয়োজন করে। পূর্বে অনেকবারই জুয়া পরিচালনাকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় সংঙ্গবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদকারীদের উপর হামলা করে।
তাই তাদের ভয়ে অনেকেই নিরবে সহ্য করে প্রতিবাদ করতে পারে না। মঠখোলার চৈত্র সংক্রান্তির নয়, মেলাটি জুয়ার আসরের জন্যই জনপ্রিয় হচ্ছে বলেও জানান এলাকাবাসী।
চাঁদপুর চৈত্র সংক্রান্তির মেলায় চারপাশে জমজমাট জুয়ার আসর
মাজহারুল ইসলাম অনিক[/author]