Home / চাঁদপুর / চৈত্রের প্রথম প্রহরেই চাঁদপুরে রসালু ফলের আমদানী
চৈত্রের প্রথম প্রহরেই চাঁদপুরে রসালু ফলের আমদানী
চাঁদপুর শহরের ১০ নং চৌধুরী ঘাট থেকে ছবিটি তোলা

চৈত্রের প্রথম প্রহরেই চাঁদপুরে রসালু ফলের আমদানী

প্রকৃতির রিতু বদলে শীতের মৌসুম কাটিয়ে ধীরে ধীরে হালকা গরম পড়তে শুরু করেছে। আর গরম অনুভব হলেই তৃষ্ণা মেটাতে মানুষজন রসালু ফল খেতে বেশি পছন্দ করেন।

এখনো ভালো ভাবে গরম অনুভুত হয়নি এরই মাঝে চৈত্রের প্রথম প্রহরে দেশের বিভিন্নস্থান থেকে রসালু ফল তরমুজ, হুট এবং বাঙ্গিসহ নানা জাতীয় ফল চাঁদপুরে আসতে শুরু করেছে।

শনিবার (১৮ মার্চ) বিকেলে চাঁদপুর শহরের ১০ নং চৌধুরী ঘাটে এভাবেই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ট্রলান ও স্টীমার থেকে তরমুজ নামাতে দেখা যায়।

এ বছর দক্ষিণাঞ্চলে বাম্পার ফলন হওয়ায় চাষিরা নৌযানে করে প্রতিদিন নিয়ে আসছে তরমুজের বহর। বিভিন্ন এলাকা থেকে চাষিরা তরমুজ এনে হাঁটে বিক্রি করছেন।

শত শত নৌকায় তরমুজের পসরা সাজিয়ে পাইকারের অপেক্ষায় থাকেন বিক্রেতারা। পাইকাররা এখান থেকে তরমুজ কিনে চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলায় সরবরাহ করেন।

সবুজ এ ফসলের সমারোহ দেখলে যে কারো চোখ জুড়িয়ে যাবে। চাঁদপুর শহরের ১০ নং চৌধুরী ঘাটে গিয়ে এসব তথ্য জানা যায়।

চাঁদপুরের বেপারীরা ঢাকা বাদামতলী ও দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে তরমুজ কিনে ট্রাকে ও লঞ্চে করে নিয়ে নিয়ে আসেন চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলায়।

আড়তদার জানান, গত বছরের চেয়ে এবার তরমুজের আমদানি কিছুটা কম। এ বছর দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও তরমুজের বাম্পার ফলন হলেও কোনো কোনো এলাকায় ফলন হয়েছে খুব কম। ফলে অনেক চাষির খরচের টাকা ঘরে তুলতে কষ্ট হবে।

তরমুজ হাট ঘুরে দেখা গেছে, বড় সাইজের ১০০ তরমুজ সাত থেকে আট হাজার টাকা, মাঝারি সাইজের তরমুজ পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা এবং ছোট সাইজের তরমুজ ৮০০ থেকে দুই হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, হাটে চাষি বেপারী ও ক্রেতারা যার যার ইচ্ছে অনুযায়ী তরমুজ কিনতে পারে। এখানে কোনো সিন্ডিকেট কিংবা চাঁদাবাজি নেই।

প্রতিবেদক- কবির হোসেন মিজি
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৪: ১৭ পিএম, ১৯ মার্চ ২০১৭, রোববার
ডিএইচ

Leave a Reply