চেয়ারে বসা অবস্থায় মৃত্যুহলো চাঁদপুর জেলা প্রাণী ও পশুসস্পদ কর্মকর্তা ডা. খান মোহাম্মদ আবদুল হাই মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্না…. রাজিউন) । রোববার (২৪ এপ্রিল) তার অফিস কক্ষের দরজা ভেঙ্গে মরদেহ বের করা হয়।
আবদুল হাই-এর গ্রামের বাড়ি বরিশালের ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলায়। পরিবারের সদস্যরা থাকেন গ্রামের বাড়িতে।
ওই অফিসের আরেক কর্মকর্তা ডাক্তার ফারহানা জাহান চাঁদপুর টাইমসকে জানান, নিজ অফিসের ডরমেটরীর ৩নং রুমে একাই থাকতেন আবদুল হাই, গত কয়েকদিন ধরেই তাঁর শরীর ভালো যাচ্ছিলো না। শনিবার পর্যন্ত ১০৩ ডিগ্রি জ্বর ছিল।
রোববার অফিসে আসার পূর্বেই ডাক্তার ফারহানা ওনার শরীরের অবস্থা জানার জন্য সকাল ৭টার দিকে ফোন করেন, কিন্তু একাধিকবার ফোন দেয়ার পরেও ফোন রিসিভ হয়নি। তখন ডাক্তার ফারহানার সন্দেহ হলে অফিসের অন্যান্য কর্মচারীদের বিষয়টি জানান। পরে সবাই মিলে এ কর্মকর্তার রুমের সামনে গিয়ে দেখেন ভেতর থেকে রুমটি বন্ধ। অনেক ডাকা-ডাকি করেও কোনো রকম সাড়া-শব্দ না পাওয়ায় চাঁদপুর মডেল থানাকে অবহিত করা হয়।
পুলিশ এসে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা উদয়ন দেওয়নসহ অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে রুমের দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে দেখতে পায়। এ কর্মকর্তা তার চেয়ারে হেলান দেয়া অবস্থায় ঘাড় বাঁকা করা অবস্থায় বসে আছে। পরীক্ষা করে দেখা যায়, তার প্রাণহীন দেহ চেয়ারে পড়ে আছে। ধারণা করা হচ্ছে হৃদরোগে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন।
রোবাবার (২৪ এপ্রিল) বাদ জোহর উপজেলা মসজিদে প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর তার মৃতদেহ গ্রারে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। জেলা প্রানী ও পশুসস্পদ কর্মকর্তা ডা. খান মোহান্মদ আ. হাই স্ত্রী মেয়ে ১ ছেলেসহ বহু আত্বীয় সজন রেখে গেছেন।
: আপডেট ১০:০০ পিএম, ২৪ এপ্রিল ২০১৬, রোববার
ডিএইচ