চাঁদপুরে হাজীগঞ্জ বাজার ও পৌর এলাকায় সম্প্রতি চুরির ঘটনায় টনক নড়েছে প্রশাসনের। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) চুরি বন্ধে প্রয়োজনীয় করণীয় ও জনপ্রতিনিধি,রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাথে বৈঠক করেছে এএসপি সার্কেল মো. মনজিল হোসেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব অধ্যাপক আবদুর রশিদ মজুমদার বলেন, ‘শেখ হাসিনার পরিচয়ে আজ আমরা জনপ্রতিনিধি হয়েছি। জনগণের দুঃখ-কষ্ট আমাদেরই দেখতে হবে। শেখ হাসিনা আছে বলেই আজ আমরা ক্ষমতার সাধ গ্রহণ করতে পারছি। কিছু পেশাদার, চোর আর মাদক ব্যবসায়ীরা দলীয় সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে চুরি করবে, মাদক ব্যবসা করবে তা মেনে নেয়া যায় না। অপরাধী যেই হউক তাকে আটক করতেই হবে।’
নেতাদের ছবি দিয়ে সাইনবোর্ড ঝুলানোর ব্যাপারে সাবধান করে দিয়ে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি লাগিয়ে কেউ সুবিধা আদায় করতে চাইলে তাদেরকে ছাড় দেয়া হবে না।’
পৌর মেয়র বলেন, ‘অপরাধী যেই দলের হউক। অপরাধীর পরিচয় সে অপরাধীই। অপরাধীকে ছাড়িয়ে আনার ব্যাপারে আমরা কোন তদবির করবো না।’
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী মো. মাইনুদ্দীন বলেন, ‘হাজীগঞ্জ বাজারে চুরি বন্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। রাজনৈতিকভাবে আমার পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহযোগিতা করা হবে।’
পৌর মেয়র ও শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি আ স ম মাহবুব উল আলম লিপন বলেন, ‘ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদের চুরি, ডাকাতি বন্ধে আরো সোচ্ছার হতে হবে। তা না হলে এসব ঘটনা দিন দিন বৃদ্ধি পাবে।’
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহ আলম (এলএলবি) বলেন, ‘হাজীগঞ্জ বাজারের কিউসি টাওয়ারে চুরি হওয়া চোরদের ভিডিও ফুটেজ দেখে সনাক্ত করা হচ্ছে। কয়েকটি থানায় ভিডিও ফুটেজ পাঠানো হয়েছে। সহসাই তাদের আটক করা সম্ভব হবে। এছাড়াও স্বপ্ন মহলে চুরির ঘটনায় আটক ৪ জনকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। চুরির সাথে জড়িত অন্যদেরও ধরার জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
সভাপতির বক্তব্যে এএসপি সার্কেল মো.মঞ্জিল হোসেন বলেন, ‘হাজীগঞ্জ বাজার ও এর আশে-পাশে চুরি হওয়া চোর ও মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতে আমরা জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও ব্যবসায়ীসহ সর্বমহলের সহযোগিতা কামনা করছি।’
এসময় জনপ্রতিনিধি, ব্যাবসায়ী সমতি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সময়ে হাজীগঞ্জ বাজারের রয়েল রওশন সুপার মার্কেট, কিউসি টাওয়ারে চুরি হওয়ার ঘটনা। চোরের দল নগদ ৪ লা টাকাসহ প্রায় ৯ লাখ টাকার মোবাইল সামগ্রী চুরি করে নিয়ে যায়।
এছাড়াও গত ৩ মাসে হাজীগঞ্জ বাজারে প্রায় ৭০ বার চুরি হয়েছে। এর পূর্বে গত ৯ বছরেও এতো বার চুরি হয়নি। শুধু হাজীগঞ্জ বাজার নয়, চুরি বৃদ্ধি হয়েছে পৌর এলাকার প্রাণকেন্দ্র মকিমাবাদেও।