বেসরকারি একটি ব্যাংকের কর্মকর্তা রিনি রাজীউন তিসা। ব্যস্ত নাগরিক জীবনের মাঝে ছুটি পেলেন ঘুরে বেড়ান দেশে দেশে। ফিরে আসার সময় মা-বাবার জন্য কাপড়সহ বিভিন্ন ধরনের উপহার নিয়ে আসেন। সেই তালিকায় যুক্ত হয় মামা, চাচা, খালাদের নামও। (খবর জাগো নিউজ)
এবারের ছুটিতে গত ১৪ নভেম্বর চীনে গিয়েছিলেন। ঘুরে বেড়িয়েছেন নিজের ইচ্ছামতো। দেশে ফেরার আগে ভাবলেন বাবা-মার জন্য কী আনবেন তা তাদের কাছ থেকেই জেনে নেবন। এরপর মোবাইলে বাবাকে কল দিয়ে জানতে চাইলেন, ‘বাবা এবার তোমাদের জন্য কী আনব?’ বাবার উত্তর, ‘যদি প্রয়োজনীয় কিছু আনতে চাও, তাহলে কয়েক কেজি পেঁয়াজ নিয়ে এসো। এখানে (ঢাকার সেগুনবাগিচা) পেঁয়াজের দাম ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত।’
এরপর তিসা অন্য কোনো উপহার না কিনে ৩৮ টাকা কেজিতে ১১ কেজি পেঁয়াজ কিনলেন বাবা-মার জন্য। দেশে আসার পর বিমানবন্দর কাস্টমসের লোকেরা সেই পেঁয়াজ দেখে একটু মুচকি হেসেছিল।
তিসা জানান, ‘চীনের একটা গ্রোসারি দোকান থেকে পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে দেখি তার কাছে ১১ কেজিই আছে। দোকানি অবাক হয়ে দেখল আমার পেঁয়াজ কেনা। ১১ কেজি হবার পর একটা পেঁয়াজ বেশি ছিল, সেটাও গিফট হিসেবে দিয়ে দিয়েছে। দোকানির হাসি দেখে মনে হয়েছে কোনো বিদেশি ভ্রমণে গিয়ে তার কাছ থেকে কোনোদিন এতো পেঁয়াজ কিনেনি।
এদিকে বাসায় আসারপর পেঁয়াজ দেখে সবাই খুব খুশি। বাবা-মামার ইচ্ছেতে আত্মীস্বজনদের কিছু পেঁয়াজ উপহার হিসেবে ভাগ করে দেয়া হয়েছে। মামা, খালা, চাচারা সবাই পেঁয়াজ উপহার পেয়ে আনন্দিত এবং অবাক হয়েছেন।
তিসা আরও জানান, এর আগেও অনেকবার বাবা-মাকে উপহার দিয়েছি, কিন্তু এবার পেঁয়াজ পেয়ে তারা যতটা খুশি হয়েছেন এতটা খুশি হতে দেখিনি কখনো। আমার ভালো লেগেছে এত খুশি দেখে। সেই সঙ্গে খারাপ লেগেছে দেশের অন্য মানুষের কথা ভেবে।
বার্তা কক্ষ,২৯ নভেম্বর ২০১৯
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur