আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
৩৯ বছরের সংক্ষিপ্ত জীবন। কিন্তু কেঁচো হয়ে নয় বরং তিনি বেঁচে আছেন বিপ্লবের বরপুত্র হয়ে। তার উক্তির মত অমর তিনি।
১৯২৮ সালের ১৪ জুন জন্ম নেন চিরবিপ্লবী নেতা আর্নেস্তো চে গুয়েভারা। ভালোই চলছিল তার ডাক্তারি পড়াশোনা, ব্যক্তিগত জীবন আর প্রেম। বন্ধুর সঙ্গে হঠাৎ মোটরসাইকেলে বের হলেন নিজ ভূখণ্ড ভ্রমণে। এ ভ্রমণ আর্নেস্তোকে বঞ্চিত মানুষদের ‘চে’ বা ‘বন্ধু’তে পরিণত করে।
দীর্ঘ এ মোটরসাইকেল ভ্রমণে আর্নেস্তো একদিকে যেমন দেখেন নিম্নশ্রেণীর মানুষের দুঃখ, দুর্দশা, বঞ্চনা, নিপীড়ন; আর অন্যদিকে দেখেন শাসকের দুর্বৃত্তায়ন, শোষণ, অত্যাচার। এ বোধ থেকেই শুরু করেন মানব মুক্তির লড়াই। ব্যক্তিগত সুখ-শান্তি, আনন্দ, সচ্ছলতা, নাম-যশের মোহকে অবজ্ঞায় দূরে ঠেলে রাস্তায় নামেন সামগ্রিক ও যৌথ সমাজে শান্তিতে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে। এ শুধু রক্তের নয়, ভালোবাসারও লড়াই; না হলে বিশ্বের কোটি মানুষকে ভালোবেসে নিজের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে নামার সাহস সবার হয় না।
চের এ তীব্র ভালোবাসা প্রকাশ পায় তার হাস্যোজ্জ্বল মুখ, শিশুদের সঙ্গে মেতে ওঠা খেলা, অসুস্থ মানুষের সেবা, তানিয়ার প্রতি ভালোবাসা, সহযোদ্ধাদের সঙ্গে গল্প-গান কিংবা লড়াইয়ের অস্ত্র ধরা হাতের মাধ্যমে। কিউবাকে গণমানুষের অধিকারে নিয়ে থেমে থাকেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত বলিভিয়ায় অসুস্থ অবস্থায় আমেরিকান গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ আটকের পর হত্যা করে তাকে। ১৯৬৭ সালে হত্যা করা হলেও চে’র আদর্শ, স্বপ্ন কিংবা চেতনা যুগে যুগে বয়ে বেড়ায় কোটি মানুষ।
চে-র শারীরিক মৃত্যু চে-কে অমরত্ব দিয়েছে আর তাঁর আদর্শকে করেছে স্থায়ী। এজন্যেই ফিদেল কাস্ত্রো বলেছিলেন, ‘চে গুয়েভারা সবসময় সেখানেই থাকবেন যেখানে তিনি বিপ্লবের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয়।’
আজ চে-র জন্মদিন, মহান বিপ্লবীর প্রতি শুভেচ্ছা।
শনিবার, ১৪ জুন ২০১৫ ০৩:৫৩ অপরাহ্ন
চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/ এমআরআর/২০১৫
চাঁদপুর টাইমস’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।