আন্তর্জাতিক

`হিলারি ক্লিনটন মারা গেছেন’ এটা কি খবর না গুজব?

‘মন্টেফিয়র মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসার সময় হিলারি ক্লিনটন মারা গেছেন’- ভয়াবহ খবর। আসলে খবর নয়, ভয়াবহ ধরনের গুজব। আর করেছে বহুল আলোচিত এবিসি নিউজ। এ নিয়ে বাংলাদেশি গণমাধ্যম ও ফেসবুকে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। বিশষ করে যারা এবিসি নিউজের মতো করে হুবুহু শিরোণাম করে সংবাদ প্রকাশ করেছে, তাদের নিয়ে পাঠকদের অনেক নেতিবাচক মন্তব্য চোখে পড়েছে।

হিলারির মৃত্যু মানে বিশ্ব রাজনীতির পুরো পরিবর্তন। তাই পাঠকদেরও এ নিয়ে বেশ আগ্রহ দেখা গেছে।

মূল ঘটনা-
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী, সাবেক ফার্স্ট লেডি, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন মারা যাননি। তার অবস্থা আশঙ্কাজনকও ছিল না। তবে তিনি নিউমনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। হাসপাতালেও ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু তেমন খারাপ ছিল না। কিন্তু তারপরও তার মৃত্যুর খবর প্রকাশ করেছে। সেখানেই শেষ নয়, খবরে আরো জুড়ে দেয়া হয় : ‘ডেমোক্র্যাটরা নতুন মনোনয়ন-প্রক্রিয়া নিয়ে মতভিন্নতায় রয়েছে।’

এবিসির এ খবর প্রকাশের পর বিভিন্ন মিডিয়া আরো নানা কাহিনী বলে খবরটি প্রকাশ করতে থাকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে আরো এক কাঠি ওপরে ওঠে।

কিভাবে এমন খবর প্রকাশিত হলো? নানা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব দেখা যাচ্ছে এ নিয়ে। কেউ হয়তো নির্বাচনে প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করতে এই ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিয়ে থাকতে পারে

নিউ ইয়র্কে ৯/১১ স্মরণসভায় অসুস্থ হয়ে পড়েন হিলারি। তিনি পুরো সময় সেখানে থাকতে পারেননি। হাসপাতালে ভর্তি হন। নির্বাচনী প্রচারকাজ স্থগিতও রাখেন। কিন্তু তাই বলে এত বড় খবর? এছাড়া তিনি ইতোমধ্যেই নির্বাচনী কার্যক্রমে ফিরে এসেছেন।

ধারণা করা হচ্ছে, হিলারির মৃত্যুর খবর নিয়ে গুজবের সূত্রপাত্র ঘটে নিউ ইয়র্কের ডব্লিউএবিসি টিভির নিউজ অ্যাংকর জো টরেসের একটি ছোট ভুল থেকে। তিনি হিলারির খবরটিতে হিলারির স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত তথা ‘হেলথ’ বিষয়ে বলতে গিয়ে বলে ফেলেন ‘ডেথ’।

পরে তদন্তে দেখা যায়, ওই অ্যাংকর আসলে ইচ্ছাকৃতভাবে এই ভুল করেননি। এটাকে বলা যায় উচ্চারণগত বিভ্রাট।
কিন্তু সেটা দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে।

বিশেষ করে টুইটারে ঝড় বয়ে যায়। তখনই এবিসি নিউজ সেটাকে বিকৃত করে প্রকাশ করে। তবে তারা কিন্তু তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে খবরটি প্রকাশ করেনি। আর তাতেই দ্রুত সবাই বুঝতে পারে, এটা মিথ্যা খবর। কিন্তু ততক্ষণে নানা ডালপালা গজিয়ে গেছে। (সূত্র : এক্সপ্রেস, ব্রিটেন)

Share