চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার অবহেলায় শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
নিহত শিশুটির বাবা একজন টোকাই বলে চিকিৎসা মেলেনি সরকারি হাসপাতালে। রাত ২.৩০ মিনিটে মারা যায় ওই শিশুটি।
১৬ মে রোববার ভোর রাতে তার মৃতদেহ ফরিদপুর পাঠানো হয়।
হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে গনমাধ্যম কর্মী সাইফুল ইসলাম সিফাত তার ফেসবুকে মেয়েটির চিকিৎসা সেবায় অবহেলার চিত্র তুলে ধরেন।
এ সময় তিনি বলেন, রাত ১২টায় মুক্তিযোদ্ধা যুব কল্যাণ সোসাইটি হাজীগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি লিটন পাটোয়ারির ফোন। একটা টোকাইর ১১ মাস বয়সী শিশু বাচ্চার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রথমে রাত ৮ টায় হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে জরুরী বিভাগের ডিউটি ডাঃ অংশু পাল জানান একটা এক্সরে করতে হবে। এক্সরে করার পর ডাক্তার জানালেন বাচ্চাটির কোন সমস্যা নেই। ফ্লাকল ও অমিডন সিরাপ ১০ ফোটা করে ৩ বার খাওয়াতে বলে বিদায় দেয়। শিশুর বাবা ওই ঔষধ খাওয়ানোর পর বাচ্চার অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যায়। যথারিতি শনিবার রাত ১১টায় শিশুর অবস্থার অবনতি দেখে ফের উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে।
এবার দেখলেন উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মতি লাল কর্মকার। তিনি জানালেন শিশুর অবস্থা খারাপ। দেরি করে আনলেন কেন। অনেক বকাঝকা করে জানালেন কুমিল্লায় নিয়ে যেতে হবে। রোগীর পরিবার তাদের সামর্থ্য নেই বলে জানান।
পরে গনমাধ্যম কর্মী ঘটনাস্থল এসে ডাক্তার না পেয়ে নাইটগার্ড ফরিদকে অবহিত করে শিশুর বাবা টোকাই, অসহায় বলে জানান দেই।।
তারপর যথারীতি শিশুকে ভর্তি করানো হলো। কিন্তু দুঃখের বিষয় কোন এমবিবিএস বা শিশু ডাক্তারকে ফোন দিয়েও ঘুম থেকে উঠেনি। পরে হাসপাতালের নার্স শেফালী পরম মমতায় শিশুকে বাঁচাতে চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়েছেন।
অবশেষে রাত ২টা ৩৫ মিঃ শিশু নুসরাত চলে গেলো না ফেরার দেশে।
শিশুটির পরিবারের কান্না এখন লাশ কিভাবে দেশের বাড়ী ফরিদপুরে নিবে। পরে ঐ গনমাধ্যম কর্মী নিজ ও স্থানীয় কাউনন্সিলের সহযোগিতায় শিশুটির লাশ ফরিদপুরে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সোয়েব আহমেদ চিশতীর সাথে বার বার যোগাযোগ করেও বক্তব্যে নেওয়া সম্ভব হয়নি।
প্রতিবেদকঃজহিরুল ইসলাম জয়,১৬ মে ২০২১