চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে সেবক-সেবিকা থাকা সত্ত্বেও দেখা যায় সুইপার ও অফিস সহকারীরা রোগীদের সেবা দিচ্ছেন। দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা জানেন না কে ডাক্তার আর কে সুইপার বা অফিস সহকারী?
প্রায় সময় দেখা যায়, চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কাটা, দুর্ঘটনায় রক্তাক্ত জখম, হাড় ভাঙ্গা এমনকি মুমুর্ষু রোগীদের সেবা দিচ্ছে হাসপাতালের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নকর্মী বা অফিস সহকারীরা।
সেবকরা নামে মাত্র দায়িত্ব পালন করে থাকে। এরা রোগী ভর্তি কাজে ব্যস্ত থেকে সেবা প্রদান করে। এ সুযোগে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কর্মীরা বা অফিস সহকারীরা টুপাইস কামাতেই রোগীর চিকিৎসা করে থাকে। অভিজ্ঞতা না থাকলেও চোখের অভিজ্ঞতায় রোগীর কাটা স্থান সেলাই, হাড় ভাঙ্গা প্লাস্টার করে দিচ্ছে। আর রোগীর অভিভাবক এদের হাতে ১০ থেকে ২০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে চলে যাচ্ছে।
কতটুকু সঠিকভাবে চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়েছে তা না জেনেই রোগী চলে যাচ্ছে। আবার অনেক সময় দেখা যায়, এরাই রোগীর স্লিপে ঔষধ লিখে দেয়। শুধু তাই নয়, এ হাসপাতালটিতে রয়েছে অনেক চিকিৎসক সঙ্কট।
১৫৯ জন চিকিৎসক ও সিনিয়র স্টাফ নার্স থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে রয়েছে মাত্র ৮৪ জন। বাকি ৭৫ জনের কোটা দীর্ঘদিন ধরে খালি রয়েছে।
সিনিয়র কনসালটেন্ট চক্ষু, জুনিয়র কনসালটেন্ট শিশু, জুনিয়র কনসালটেন্ট অ্যানেসথেসিয়া, জুনিয়র কনসালটেন্ট রেডিওলজি, জুনিয়র কনসালটেন্ট চক্ষু, জুনিয়র কনসালটেন্ট প্যাথলজি, জুনিয়র কনসালটেন্ট ডেন্টাল, প্যাথলজিস্ট, রেডিওলজিস্ট, মেডিকেল অফিসার ইউনানী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, উপসেবা তত্ত্বাবধায়কের অনুমোদিত পদ সম্পূর্ণ শূন্য অবস্থায় রয়েছে।
আবাসিক স্কেল অফিসার ২ জনের মধ্যে আছেন ১ জন। অ্যানেসথেটিস্ট ২ জনের মধ্যে আছেন ১ জন। ইমারজেন্সি কেল অফিসার ৩ জনের মধ্যে আছেন ২ জন। ১৪ জন সহকারী রেজিস্ট্রারের মধ্যে আছে ১০ জন। বিষয়ভিত্তিক ১৪ জন মেডিকেল অফিসারের মধ্যে আছে মাত্র ৭ জন। ৮৮ জন সিনিয়র স্টাফ নার্সের মধ্যে আছে মাত্র ৪০ জন।
এমনিভাবে চিকিৎসক ও নার্সসহ ৭৫ জনের কোটা শূন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. প্রদীপ কুমার দত্ত চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘জরুরি বিভাগের সুইপার ও অফিস সহকারীদের চিকিৎসা বিষয়টি পুরোপুরি ভাবে আমার ধারণা নেই। জরুরি বিভাগে রোগীর সার্বক্ষণিক সেবা দেবে ব্রাদার বা সিস্টারগণ। বিষয়টি আমি দেখবো কার কি দায়িত্ব।’
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৮:৪০ পিএম, ০৯ অক্টোবর ২০১৬, রোববার
ডিএইচ