চিকিৎসক সংকটে প্রায় দু‘মাস ধরে বন্ধ রয়েছে আড়াই শ’ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আল্টাসনোগ্রাম বিভাগ। এতে করে জেলার বিভিন্ন স্থান ও জেলার বাইরে থেকে আসা রোগীদের অনেক হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
সরকারি নিদিষ্ট খরছে হাসপাতালে আল্টাসনোগ্রাম করাতে না পেরে অধিক খরছ দিয়েই বাধ্যতামুলক বাহিরের ডায়াগনস্টিক গুলোতে আল্টাসনোগ্রাম করাচ্ছেন রোগীরা। এর জন্যও রোগীদের ওই পরীক্ষাটি করাতে হাসপাতাল থেকে অন্য স্থানে আসা যাওয়ায় অনেক হয়রানির শিকার হচ্ছেন রোগীরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ওই বিভাগটিতে রেডিওলজিস্ট ও কনসালটেন্ট পদে দু চিকিৎসক কর্মরত ছিলো। তাদের পদোন্নতি হওয়ার পর গত ৬ সেপ্টেম্বর থেকে হাসপাতালের নিচ তলায় অবস্থিত আল্ট্রাসনোগ্রাম বিভাগটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
এরমধ্যে আল্টাসনোগ্রাম বিভাগটির দায়িত্বে থাকা রেডিওলজিস্ট ডা. সফিকুল ইসলাম গত ৫ মে ২০১৬ ইং পদোন্নতি লাভ করে হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন।
তারপর থেকে আল্ট্রাসনোগ্রাম বিভাগটির কার্যক্রম পরিচালনা করেন হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা. মাইনুদ্দিন। তিনি গত ৫ সেপ্টোম্বর পদোন্নতি লাভ করে নোয়াখালি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যোগদান করেন।
এতে করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের এ দুটি পদ শূন্য হয়ে গিয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাম বিভাগটি বন্ধ হয়ে যায়। এতে হাসপাতালে এসে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। বিভিন্ন রোগের রোগ নির্ণয়ের জন্য হাসপাতালে এসে অল্প খরচে যে সেবা পেতো জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা রোগীরা। এখন এ বিভাগটি বন্ধ থাকায় সে সুবিদা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মানুষজন।
এদিকে আল্ট্রাসনোগ্রাম বিভাগটিই নয় চিকিৎসক সংকটের কারনে হাসপাতালের আরো বেশ কিছু চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন না রোগীরা। কনসালন্টেট ও রেডিওলজিস্টের পাশাপাশি প্রায় এক বছর ধরে চক্ষু চিকিৎসকের পদটিও শূন্য পড়ে আছে।
হাসপাতালের চোখের ডাক্তারের পদটি শূন্য থাকায় চোখের চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন মানুষজন। গত বছর খানেক আগে ওই পদে দায়িত্বে থাকা ডাঃ মনোজ কান্তি বড়–য়া চাকরি থেকে অবসর নেয়ার পর থেকে সে পদটি আজো শূন্য পড়ে রয়েছে। এছাড়াও আরো ২৫টি পদ শূন্য পড়ে আছে বলে জানা গেছে।
হাসপাতালের প্রধান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক মো. সফিউল আলম চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘সরকারি হাসপাতালের ৬৫টি পদের মধ্যে মাত্র ৪০জন চিকিৎসক দায়িত্বপ্রাপ্ত রয়েছে। আর বিভিন্ন পদের বাকি ২৫ পদই শূন্য রয়েছে। এর কারনে রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। চিকিৎসক সংকটের মধ্য দিয়েই প্রতিদিন চলছে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালের কার্যক্রম।’
হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. প্রদীপ কুমার দত্তের সাথে এ বিষয়ে কথা হলে তিনি চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘রেডিওলজিস্ট , কনসালন্টেট ও চক্ষু চিকিৎসকের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে। আশা করছি হয়তোবা কিছু দিনের মধ্যে ওই সকল শূন্য পদে লোক নিয়োগ করা হবে।’
চাঁদপুর সররকারি জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে চাঁদপুর টাইমসের আগের পর্বটি পড়ুন…..চিকিৎসক সঙ্কট : চাঁদপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসায় পরিচ্ছন্নকর্মী
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১:০০ পিএম, ২১ অক্টোবর ২০১৬, শুক্রবার
ডিএইচ