আড়াই’শ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক সংকটে প্রায় দেড় বছর যাবৎ বন্ধ রয়েছে আল্টাসনোগ্রাম বিভাগটি। এতে করে জেলার বিভিন্ন স্থান ও জেলার বাইরে থেকে আসা রোগীদের অনেক হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
সরকারি নিদিষ্ট খরছে হাসপাতালে আল্টাসনোগ্রাম করাতে না পেরে অধিক খরচ দিয়েই বাধ্যতামুলক বাহিরের ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোতে আল্টাসনোগ্রাম করাচ্ছেন রোগীরা। এর জন্যও রোগীদের ওই পরীক্ষাটি করাতে হাসপাতাল থেকে অন্য স্থানে আসা-যাওয়ায় অনেক হয়রানির শিকার হচ্ছেন রোগীরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়,ওই বিভাগটিতে রেডিওলজিস্ট ও কনসালটেন্ট পদে তিন জন চিকিৎসক কর্মরত ছিলো। তাদের পদোন্নতি হওয়ার পর গত বছরের ২০ জুন থেকে হাসপাতালের নিচ তলায় অবস্থিত আল্ট্রাসনোগ্রাম বিভাগটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
এরই মধ্যে আল্টাসনোগ্রাম বিভাগটির দায়িত্বে থাকা রেডিওলজিস্ট ডা.সফিকুল ইসলাম গত ৫ মে ২০১৬ পদোন্নতি লাভ করে হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন।
তারপর থেকে আল্ট্রাসনোগ্রাম বিভাগটির কার্যক্রম পরিচালনা করেন হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা.মাইনুদ্দিন। তিনি গত ৫ সেপ্টোম্বর পদোন্নতি লাভ করে নোয়াখালি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যোগদান করেন।
তারপরর গত ২০ জুন আল্ট্রাসনোগ্রাম বিভাগের দায়িত্বে থাকা রেডিওলোজিস্ট সনোগ্রাফী বিশেষজ্ঞ ডাঃ সালাউদ্দিন পাটওয়ারী কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে ছাড়পত্র নিয়েছেন। তিনি বিদায় নেবার পর থেকে এখনো পর্যন্ত আল্ট্রাসনোগ্রাম বিভাগটি বন্ধ রয়েছে।
এই পদের রেডিওলজিস্ট ও কনসালটেন্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না পাওয়ার কারনে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের এ দুটি পদ শূন্য হয়ে গিয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাম বিভাগটি বন্ধ হয়ে যায়। এতে হাসপাতালে এসে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা।
বিভিন্ন রোগের রোগ নির্ণয়ের জন্য হাসপাতালে এসে অল্প খরচে যে সেবা পেতো জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা রোগীরা। এখন এ বিভাগটি বন্ধ থাকায় সে সুবিদা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষজন।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ সুজাউদৌলা রুবেল চাঁদপুর টাইমসকে জানান, সরকারি হাসপাতালের আল্ট্রাসনোগ্রাম বিভাগের দায়িত্বে থাকা রেডিওলোজিস্ট সনোগ্রাফী বিশেষজ্ঞ ডাঃ সালাউদ্দিন পাটওয়ারী কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে যাওয়ার পরপরই আমরা এই পদে লোক নিয়োগ দেয়ার জন্য বেশ কয়েকবার স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে আবেদন করেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষও এই পদে লোক নিয়েগের চেষ্টা করছে। কিন্তু রেডিওলজিস্ট,কনসালন্টেট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না পাওয়ার কারনে আল্ট্রাসনোগ্রাম বিভাগটি বন্ধ রয়েছে। প্রয়োজনে আমরা আবারো এ পদে লোক নিয়েগের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে আবেদন করবো।
প্রতিবেদক:কবির হোসেন মিজি,২৬ সেপেটম্বর ২০২০
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur