সরকার দেশের চাহিদা মিটিয়ে চাল মজুদ থাকায় তা’ রফতানির সিদ্ধান্তে আমরা গর্বিত। একসময় আমাদের দেশে খাদ্য ঘাটতি ছিল । বর্তমানে কৃষিক্ষেত্রে নতুন নতুন প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের ফলে খাদ্য ঘাটতি মেটাতে অনেকটা সক্ষম হয়েছে।
আপদকালীন মজুদ রেখে উদ্বৃত্ত চাল রফতানি করার সিদ্ধান্ত সরকার নিয়েছে এমন একটি সংবাদ আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ হয়েছে।
বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। সরকারের কাছে আগের ৩০ থেকে ৪০ লাখ মে. টন চাল উদ্বৃত্ত রয়েছে। ওই চালই রফতানি করবে। । চলতিবছর ৩ কোটি ৮৭ লাখ মে. টন চাল উৎপাদিত হওয়ার সম্ভাবনা । এ থেকেও প্রায় ৫০ লাখ মে. টন চাল উদ্বৃত্ত থাকবে।
সব মিলিয়ে দেশে চাল উদ্বৃত্ত থাকবে প্রায় এক কোটি টনের মত। ফলে নতুন চাল সংগ্রহ শুরু করতে গুদাম খালি করতে হবে । এর আগে শ্রীলংকায় ৩০ হাজার মে. টন মোটা চাল রফতানি হয়েছিল। প্রথম পর্যায়ে ত্রিপুরায় ৮ হাজার মে. টন চাল রফতানি করা হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, খাদ্য মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সূত্রে জানা গেছে , দেশে প্রতিদিন চালের চাহিদা গড়ে ৯০ হাজার মে. টন। সে হিসেবে বছরে চালের চাহিদা ৩ কোটি ২৮ লাখ ৫০ হাজার মে. টন।
২০১৪-১৫ অর্থবছরে দেশে চাল উৎপাদিত হয়েছে ৩ কোটি ৪৭ লাখ ১১ হাজার মে. টন। এ সময়ে দেশি চাল উদ্বৃত্ত ছিল ১৮ লাখ মে. টন। চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দেশে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৩ কোটি ৫০ লাখ মে. টন।
তবে বোরোর যে ফলন হয়েছে তাতে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৩ কোটি ৮৭ লাখ মে. টনে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে চাল রফতানির বিষয়টির জন্য আমরা গর্বিত ।
সম্পাদকীয় : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৬:০০ এএম, ২৩ মে ২০১৬, সোমবার
ডিএইচ