সৃজিত মুখার্জি ওপার বাংলা নামকরা চলচ্চিত্র নির্মাতা। আর পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, যিশু সেন গুপ্ত, রুদ্রনীল ঘোষও ওপারে প্রত্যেকে প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা। অন্যদিকে ঋতুপর্ণা সেনও সেখানকার জনপ্রিয় অভিনেত্রী।
শিল্পী হওয়ার খাতিরে তাদের প্রত্যেকের মধ্যে ছিল দারুণ সুসম্পর্ক। কিন্তু হঠাৎ সৃজিত,পরমব্রত, যিশু, রুদ্র এ চারজনের প্রতি ভীষণ চটেছেন ঋতুপর্ণা। এমনকি যৌন হয়রানির মামলা করে ফেলেছেন- এমন খবরও প্রকাশ করেছে কলকাতার এবেলা পত্রিকা।
সেখানে বলা হয়েছে, ‘গেল ডিসেম্বর মাসে কালার্স বাংলা চ্যানেলে যিশু সেনগুপ্তের পরিচালনা ও সৃজিতের সঞ্চালনার একটি অনুষ্ঠানে এসেছিলেন ঋতুপর্ণা, রুদ্রনীল ও পরমব্রত। ওই শো’তে ঋতুপর্ণাকে নিয়ে যৌন হয়রানি ও বিদ্রুপ উস্কানিমূলক ‘বিরূপ এবং অপমানজনক’ মন্তব্য করেন পরমব্রত-রুদ্রনীল। এতে ক্ষেপে গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ঋতুপর্ণা।’
অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার হয়েছিল গত ডিসেম্বরে। তাহলে এতদিন পরে ঋতুপর্ণা মামলা করলেন কেন? তার আইনজীবীর বক্তব্য, ‘কেস তৈরি করতে একটু তো সময় লাগে। সম্মাননীয় ব্যক্তিরা এ মামলায় জড়িয়ে রয়েছেন। সে কারণেই সময় নিয়ে প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। আলিপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ৫০১, ৫০২ এবং ৩৪ নম্বর ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। আদালত অভিযুক্তদের আগামী ২৮ এপ্রিল হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
তবে এ বিষয়ে অভিযুক্তরা ‘এবেলা’ পত্রিকাকে বলেছেন, একটা সময়ে পরমব্রত-রুদ্রনীলের সঙ্গে ঋতুপর্ণার বেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বলেই জানা যাচ্ছে। রুদ্রনীলের কথায়, ‘ও আমার আর পরম দু’জনেরই বন্ধু ছিল। এখনও আছে। মাঝেমধ্যে কথাবার্তাও হয়। সেই খাতিরেই আমরা কিছু মজার কথা বলেছি। কিন্তু তার জন্য এত কিছু ঘটবে ভাবিনি। বেশ অবাকই হয়েছি! এরপর তো কোনও বন্ধুর সঙ্গে ইয়ার্কি করতেও ভয় পাব।’
অন্যদিকে ঋতুপর্ণা বলেছেন, ‘নারী হিসেবে ওদের দু’জনের কথাবার্তায় অপমানিত হয়েছি। ওরা আমার খুবই বন্ধু ছিল। কিন্তু যে ভাষায় তারা কথা বলেছে, সেটা লজ্জাজনক! কারও সম্পর্কে এভাবে কেউ কী করে কথা বলতে পারে! বিশেষ করে তারা যদি পরিচিত হয়!’