জনসমর্থনহীন সরকার নানা ধরনের ভেল্কিবাজি দেখিয়ে জনগণের মনোযোগকে নিজেদের দিকে টানতে ব্যর্থ হয়ে পীড়ন আর রক্তপাতকেই সিংহাসন টিকিয়ে রাখার গ্যারান্টি মনে করছে। সেজন্যই আজ চারিদিকে শুধু কুলখানি, চল্লিশা আর শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠান।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, এক ব্যক্তির খেয়াল-খুশিতে দেশ চলছে। তার অপ্রতিরোধ্য ক্ষমতায় তিনি দেশের পুলিশ, প্রশাসন, বিচার, নির্বাচন কমিশন কব্জা করে নিয়েছেন। আর এই কারণেই এ সব প্রতিষ্ঠানের প্রতি জনগণের চরম অনাস্থা জন্মেছে।
জনগণের সকল মৌলিক মানবাধিকারকে তালাবদ্ধ বাক্সে চেপে রেখে নানা ধরনের ভেল্কিবাজি দেখিয়ে জনগণের মনোযোগকে নিজেদের দিকে টেনে আনার নিরন্তর ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, জনসমর্থনহীন সরকার এই ব্যর্থ চেষ্টা করতে গিয়েই পীড়ন আর রক্তপাতকেই নিজেদের সিংহাসন টিকিয়ে রাখার গ্যারান্টি মনে করছে। আর সেজন্যই এ দেশে কোথাও জীবনের কোলাহল নেই, চারিদিকে শুধু কুলখানি, চল্লিশা আর শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠান।
বিএনপির এই নেতা বলেন, এ দেশে বিদেশি, বিভিন্ন ধর্ম সম্প্রদায়ের পুরোহিত ও যাজক, বাউল-সাধক হত্যা এবং উপাসনালয়ের হামলায় জড়িত দুর্বৃত্তরা বিদ্যমান দুঃশাসনের পরিণতি।এখন এই দুঃশাসন এক হিংস্ররূপী অতি দানবে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি জঙ্গি দমনের ক্র্যাকডাউন অভিযান যেভাবে পরিচালিত হলো এবং হচ্ছে, তাতে পার্শ্ববর্তী দেশের নীতি-নির্ধারকরা ছাড়া দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক, যারা বাংলাদেশের অরাজক পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজ-খবর রাখেন, তাদের কাছে এই অভিযান একটি সরকারি সার্কাস ছাড়া অন্য কিছু মনে হয়নি।
ক্ষমতাসীনদের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, জঙ্গি ধরার নামে বিএনপি নেতাকর্মী, সমর্থক, বিরোধী দল ও সাধারণ মানুষকে গ্রেপ্তার করে পুলিশী নিপীড়নের মধ্যে ফেলে দিয়ে পবিত্র রমজান মাসে যে অমানবিক নিষ্ঠুরতা প্রদর্শন করা হয়েছে, তা বর্তমান ভোটারবিহীন মনোরোগগ্রস্ত সরকারের পৈশাচিক অপশাসনে এক নতুন মাত্রা দান করেছে। গণগ্রেপ্তার শেষ হয়েছে বলা হলেও দেশব্যাপী পুলিশি গ্রেপ্তার ও গ্রেপ্তার বাণিজ্য অব্যাহত আছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন-বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হারুন-অর রশিদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, যুবদলের দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম সম্পাদক কাজী রফিক, ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, সহ-সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার বসু (মিন্টু) প্রমুখ।(বাংলামেইল)
নিউজ ডেস্ক ।। আপডেট ৩:৪৯ পিএম,২২ জুন ২০১৬,বুধবার