চাচা শ্বশুরের ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর চাচাতো দেবরের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক গর্ভপাতের অভিযোগে মামলা করেছেন এক গৃহবধূ। ফেনী জেলার সোনাগাজি উপজেলায় এ ঘটনা ঘটেছে। আসামিরা হলেন- ভুক্তভোগী গৃহবধূর চাচা শ্বশুর শফি উল্লাহ, তার ছেলে রিয়াদ ও তার বন্ধু স্বপন।
২৩ মার্চ রোববার বিকেলে ওই মামলায় ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া ইসলামের আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভুক্তভোগী গৃহবধূর আইনজীবী শাহজাহান সাজু। তিনি জানান, বিচারকের কাছে ধর্ষণ ও জোরপূর্বক গর্ভপাতের আদ্যপান্ত বর্ননা করেছেন ভুক্তভোগী।
জবানবন্দিতে ওই গৃহবধু উল্লেখ করেন, বিয়ের পর থেকেই তাকে উত্যক্ত করতেন চাচা শ্বশুর শফি উল্লাহ। এ নিয়ে কয়েকবার সালিশ হয়েছে। ২০১৯ সালের ১৮ জুন বাড়িতে একা ছিলেন তিনি। ওই সময় শফি উল্লাহ ঘরে ঢুকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। কয়েকমাস পর সে ডাক্তারি পরীক্ষায় ধরা পড়ে তিনি অন্তঃসত্ত্বা। এ ঘটনায় সালিশে বিচার না পেয়ে ২২ নভেম্বর সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন তিনি।
তিনি আরো জানান, ২৬ নভেম্বর চাচাতো দেবর রিয়াদ ও তার বন্ধু মোরশেদ আলম স্বপন সহযোগিতার কথা বলে তাকে ফেনীর আদালতে নিয়ে যায়। সেখানে একটি কাগজে স্বাক্ষর নেয় তারা। এরপরই জামিন পেয়ে যান শফি উল্লাহ। ৯ ডিসেম্বর রিয়াদ ও স্বপন তাকে ফেনীর হাজারী রোডের একটি বাসায় নিয়ে আটকে রাখে। তখন তিনি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পরে ফেনীর রয়েল হাসপাতালে নিয়ে তার গর্ভপাত করায় তারা। দুইমাস পর কৌশলে ছোট ভাইকে বিষয়টি জানান তিনি। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
সোনাগাজী মডেল থানার এসআই মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ১৪ মার্চ ফেনী পৌরসভার পূর্ব দেবীপুরের একটি বাসা থেকে ভুক্তভোগী গৃহবধূকে উদ্ধার করা হয়। রোববার তিনি আদালতে জবানবন্দি দেন।
করেসপন্ডেন্ট, ২৩ মার্চ ২০২০
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur