Home / সারাদেশ / সাড়ে ৬ লাখ দিলেই ৩৯ হাজার টাকা বেতনের চাকরির প্রলোভন
চাকরির

সাড়ে ৬ লাখ দিলেই ৩৯ হাজার টাকা বেতনের চাকরির প্রলোভন

সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সিআইডি জানিয়েছে, এসএসসি পাসে ৩৯ হাজার বেতনে একটি প্রকল্পের পরিদর্শক পদে নিয়োগ করিয়ে দেওয়ার কথা বলে চাকরিপ্রার্থীর কাছে সাড়ে ছয় লাখ টাকা দাবি করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন- বাংলাদেশ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি সার্ভিসেস ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুর রহমান ও প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মাহবুবুর রহমান রুস্তম।

তাদের কাছ থেকে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে করা চুক্তিনামার কপি, নিয়োগপত্রের ফটোকপি, বিভিন্ন ব্যক্তিদের নিয়োগপত্রসহ অন্যান্য কাগজ জব্দ করা হয়।

শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) সকালে সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘সিআইডি ঢাকা মেট্রো উত্তরের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. খালিদ উল হকের তত্ত্বাবধানে ও টিম-২ এর এএসপি জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মগবাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। চাকরি দেওয়ার নামে ২৫-৩০ জনের কাছে থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় এক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্রটি।’

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান বলেন, ‘ভুয়া কোম্পানি খুলে চাকরি দেওয়ার কথা বলে বিপুল অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ করেছেন তারা। গ্রেফতারকৃতরা সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রকল্পে চাকরি দেওয়ার কথা বলে বেকার যুবকদের ফাঁদে ফেলে প্রতারণা করে আসছিল। প্রতিষ্ঠানটির বৈধ কাগজপত্র তারা দেখাতে পারেনি। ভুয়া নিয়োগপত্র প্রার্থীদের কেন দিয়েছে, তার কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি।’

সিআইডি জানিয়েছে, রাকিব মিয়া নামে একজনের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসএসসি পাসে ৩৯ হাজার বেতনে একটি প্রকল্পের পরিদর্শক পদে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানানো হয় রাকিবকে। এজন্য তার কাছে চাওয়া হয় সাড়ে ৬ লাখ টাকা। প্রতিষ্ঠানটির এমডি আব্দুর রহমানের কথায় চাকরির জন্য অগ্রিম দুই লাখ টাকা দেন রাকিব। পরে দেন আরও দুই লাখ টাকার চেক।

ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হলে সাতদিনের মধ্যে জয়েনিং করতে বলে একটি প্রস্তাবনা ও নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। পরবর্তীতে কয়েকদিন পর আবার এক লাখ টাকা দাবি করা হয় ফোনে। এভাবে পাঁচ লাখ ৯৫ হাজার টাকা দেন রাকিব। টাকা নেওয়ার পর চাকরিতে যোগদান না করিয়ে ঘোরাতে থাকে প্রতারকরা।

প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে একটি মামলা করেন রাকিব মিয়া। ঘটনার ছায়া তদন্ত করতে নেমে সিআইডি দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারদের বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।