চন্দ্রপৃষ্ঠের ভূ-ভাগের নমুনা সংগ্রহ করতে যাওয়া চীনা মহাকাশযান চ্যাং ফাইভ উপগ্রহটিতে অবতরণ করেছে। চাঁদের নমুনা সংগ্রহে এ ধরনের অভিযান গত চার দশকের মধ্যে প্রথম। নমুনা সংগ্রহ করে চন্দ্রযানটি সফলভাবে পৃথিবীতে ফিরতে পারলে সংক্ষিপ্ত এক তালিকায় ঢুকে যাবে চীন। এ তালিকায় এত দিন ছিল কেবল যুক্তরাষ্ট্র ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের নাম।
এর আগে ষাট ও সত্তরের দশকে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মহাকাশযান চাঁদের বুকে সফলভাবে অবতরণ করে নমুনা সংগ্রহ করেছিলো। এরপর পেরিয়ে গেছে অর্ধশত বছর। এবার চীনও যোগ হলো ওই কাতারে। গত ২৪ নভেম্বর চীনের হাইনান প্রদেশ থেকে আট দশমিক দুই টন ওজনের চীনা চন্দ্রযান ‘চ্যাং ফাইভ’ পৃথিবী থেকে যাত্রা করে চাঁদের উদ্দেশে। ১১২ ঘণ্টা উড্ডয়নের পর চন্দ্রযানটি শনিবার চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করে। এরপর মঙ্গলবার (০১ ডিসেম্বর) অবতরণ করে চন্দ্রপৃষ্ঠে।
এর আগে ২০১৯ এবং ২০১৩ সালে চীনের আরো দুটি মহাকাশযান চাঁদে প্রথমবারের মতো অবতরণ করেছিলো।
চীনের জাতীয় মহাকাশ কর্তৃপক্ষ চায়না ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বলছে, চ্যাং ফাইভ চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে নুড়িপাথর ও মাটির নমুনা সংগ্রহ করবে। চলতি মাসের মাঝামাঝিতে পৃথিবীতে ফেরার কথা রয়েছে এই মহাকাশযানটির।
বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী নেচার-এর তথ্যমতে, চীনের চন্দ্রযানটি চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে দুই কেজি নমুনা সংগ্রহ করবে। এই নমুনা সংগ্রহ করা হবে চাঁদের ওশেনাস প্রসেলারাম এলাকা থেকে। ওশেনাস প্রসেলারাম-এর অর্থ ‘ঝড়ের সমুদ্র’। আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে প্রবাহিত লাভা দিয়ে এই বিশাল সমতল এলাকা গঠিত। এই এলাকা থেকে এর আগে নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি। চন্দ্রযানটি চাঁদের পুরো এক দিন এই নমুনা সংগ্রহের কাজ করবে। চাঁদের এক দিন পৃথিবীর ১৪ দিনের সমান।(সূত্র: বিবিসি)
বার্তাকক্ষ,০২ ডিসেম্বর,২০২০;