চাঁদপুর-১ আসনে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন আট প্রার্থী

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে নির্বাচনী হাওয়া বেশ জোরে-শোরে বইতে শুরু করেছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো আসনটিতে ইতোমধ্যে তাদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে ফেলেছে। ইদানীং নির্বাচনি প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন বিভিন্ন দলের মনোনীত প্রার্থীরা।

কচুয়ার এ আসনে ১২ ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে ঘটিত এখানে মোট ৩ লাখ ৫২ হাজার ৫ শ’৮০ জন ভোটার রয়েছেন। বিগত সংসদ নির্বাচনগুলোতে এ আসনটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী টানা কয়েক বার জয়লাভ করেছে। কিন্তু বর্তমানে গণহত্যার দায়ে দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকায় আসনটিতে জয়লাভ করতে মরিয়া বিএনপি, জামায়াত ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনের শরিক প্রার্থীরা। যদিও এ আসনে বিগত ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহছানুল হক মিলন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এবারো তিনি এ আসনে হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে প্রচারনা রয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিভিন্ন দলের মনোনীত প্রার্থীরা বিভিন্ন সভা, সমাবেশ ও মিছিলের আয়োজন করে গণসংযোগে করছেন। তৃণমূল পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে নির্বাচনি প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। প্রার্থীদের পাশাপাশি ভোটারদের মধ্যেও নির্বাচনি আমেজ ও উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। জনপদের চায়ের দোকান থেকে শুরু করে হাট-বাজারে এখন আলোচনার মূল বিষয় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন। জনসমাগমস্থলে স্থানীয় ভোটারদের আলোচনার অন্যতম বিষয় এখন আগামী সংসদে কে হবে তাদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি।

এ আসনটিতে ধানের শীষের হেভিওয়েট প্রার্থী, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলন উপজেলার জনসমাগমস্থলে নির্বাচনি প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। তিনি পথ সভার আয়োজন করে বিএনপি’র ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও বিবিসি’কে দেয়া তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার জনসাধারনের মাঝে উপস্থাপন করে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, রাজনীতির মাঠে বিগত দিনে আমি নেতাকর্মীদের নিয়ে মাঠে ছিলাম। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের দেয়া ৩৭টি মিথ্যা মামলায় জেল খেটেছি প্রায় ৩ বছর। জনগন আমার সাথে রয়েছে। বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসলে কচুয়ার উন্নয়নে নিজেকে নিয়োজিত রাখবো।

জামায়াত ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী মুহাদ্দিস আবু নছর আশরাফীও প্রচার-প্রচারনায় পিছিয়ে নেই। তিনিও কচুয়ার একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে দিনরাত প্রচারপ্রচারনায় ব্যস্ত সময় পাড় করছেন।

তিনি বলেন, জনগণের অধিকার ও ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ্য। যদি জনগণ আমাদের ওপরে আস্থা রাখে, আমরা পরিবর্তনের রাজনীতি দেখাব।

এছাড়াও গণ-অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-গণমাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক এনায়েত হাসিব, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনীত শাপলা কলি’ প্রার্থী ডা. আরিফুর রহমান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মনোনীত রিক্্রা মার্কার প্রার্থী মুফতী আনিছুর রহমান কাসেমী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ হাতপাখার প্রার্থী মুফতী উমর ফারুক ইবরাহীমী কাসেমী, জাকের পার্টি গোলাপ ফুল নিয়ে মো. মাসউদুল আহসান ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট মোমবাতী প্রতীক নিয়ে মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন মাহমুদ নির্বাচনী মাঠে ব্যাপক প্রচার-প্রচারনা চালাচ্ছেন। শেষ পর্যন্ত আগামী ১২ জানুয়ারী নির্বাচন কমিশন ঘোষিত অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হচ্ছে কিনা এ দিকেই তাকিয়ে আছে কচুয়া উপজেলাবাসী তথা পুরো দেশের মানুষ।

প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু,
১৭ ডিসেম্বর ২০২৫