চাঁদপুর হাসপাতালে ফের আগুন আতংক

আড়াই’শ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল অক্সিজেন লিক হওয়ার শব্দে হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীদের মাঝে অগ্নিকাণ্ডের আতংকে ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকাণ্ডের ভয়ে জীবন বাঁচাতে রোগীরা দৌড় ঝাঁপের ঘটনা ঘটেছে।

২৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে চাঁদদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তৃতীয় তলায় শিশু ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে। এতে রোগীদের মাঝে ব্যাপক আতংক ছড়িয়ে পড়ে।

এসময় হাসপাতালের শিশু বিভাগের ভর্তিকৃত রোগীরা হাউমাউ চিৎকার করে হাসপাতালের ওয়ার্ড ত্যাগ করে তৃতীয় তলা থেকে নিচে নেমে বাইরে গিয়ে হাসপাতালের সামনে অবস্থান নেন।

প্রত্যক্ষদর্শী হাসপাতালের একাধিক রোগীরা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে চাঁদপুর জাফরাবাদ এলাকার কাদির ছৈয়ালের তিন দিনের শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে শিশু ওয়ার্ডে নিলে ওই শিশুটি মৃত্যুবরণ করে। এসময় শিশুর স্বজনরা রাগে ক্ষোভে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে থাকা অক্সিজেন লাইনের মিটারে আঘাত করেন। এতে অক্সিজেন মিটারটি ভেঙ্গে পড়ে গ্যাস বের হলে তার শব্দ শুনে রোগীরা আগুন আতংকে ওয়ার্ড থেকে দৌড়ে বের হয়ে যান।

এদিকে চাঁদপুর জাপরাদ এলকার কাদির ছৈয়াল ও তাদের স্বজনদের অভিযোগ, গত পরশু কাদির ছৈয়ালের স্ত্রী রুজিনা বেগম পুত্র সন্তান প্রসব করেন। সোমবার রাতে শিশু অতিরিক্ত কান্নার কারনে মঙ্গলবার দুপুরে তারা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। তাদের অভিযোগ চিকিৎসাসেবায় হাসপাতাল কৃর্তপক্ষের হেয়ালীপনায় শিশুটির মৃত্যু হয়। আর সে কারনেই তারা শিশুটির মৃত্যুর কথা শুনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতি রাগে ক্ষোভে অক্সিজেন মিটিরে আঘাত করেন। যার কারনে অক্সিজেন বের হওয়ার শব্দে রোগীরা আগুন আতংকে তিন তলা থেকে হাসপাতালের নিচে নেমে পড়ে।

হাসপাতালের তৃতীয় তলায় ডিউটিরত নার্সরা চাঁদপুর টাইমসকে জানান, বুধবার বিকেলে তারা ডিউটিরত অবস্থায় একজন শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি দিলে, শিশু ওয়ার্ডে নেয়ার পর চিকিৎসার সেবা দেয়ার পূর্বেই শিশুটির মৃত্যু হয়। যার কারনে স্বজনরা রাগে অক্সিজেন মিটারে আঘাত করলে সেটি ভেঙ্গে পড়ে গ্যাস বের হতে থাকে। আর তা দেখে কক্ষের পাশে থাকা প্রত্যেক রোগীরা আগুন লাগছে ভেবে হাউমাউ করে চিৎকার করে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যেতে থাকে। পরে অল্প সময়ের মধ্যেই তা সমাধান হয়ে যায়।

এ বিষয়ে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডঃ এ কে মাহবুবুর রহমান চাঁদপুর টাইমসকে জানান, রোগীদের এমন ঘটনাটি সম্পর্ণ গুজব। অক্সিজেন লিক হওয়ার শব্দ শুনে তারা আগুন আতংকে নিচে নেমে আসে। এছাড়া যদি অবহেলায় কোন শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটে তাহলে আমরা পরিবারের অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিবো।

প্রতিবেদক: কবির হোসেন মিজি, ২৮ ডিসেম্বর ২০২২

Share