Home / শীর্ষ সংবাদ / নদীর তীর ও নাব্যতা রক্ষায় চাঁদপুর-হাইমচরে ৪৯০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ

নদীর তীর ও নাব্যতা রক্ষায় চাঁদপুর-হাইমচরে ৪৯০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ

নদীভাঙ্গন প্রতিরোধে তীর সংরক্ষণ ও নদীর নাব্যতা রক্ষায় ড্রেজিং কাজের জন্যে চলতি ২০১৭- ২০১৮ অর্থবছরে চাঁদপুর-হাইমচরে ৪শ’ ৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটো মেঘা প্রকল্প গ্রহণ করেছে চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড ।

চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডে কর্মরত হাইমচরের দায়িত্বে নিয়োজিত উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো.জাহাঙ্গীর হোসেন বুধবার ২৮ (ফেব্রæয়ারি) চাঁদপুর টাইমসকে এ তথ্য জানান ।

এ উপ-সহকারী প্রকৌশলীর দেয়া তথ্যমতে, চলতি ২০১৭- ২০১৮ অর্থবছরে চাঁদপুর সদরের হরিণা ফেরিঘাট ও চরভৈরবীর কাটাখাল বাজার রক্ষা নামের একটি প্রকল্প ও মেঘনা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষায় হাইমচরের নীলকমল, চাঁদপুর সদরের ইব্রাহীমপুর ইউনিয়ন ডান (পশ্চিম) তীর রক্ষায় এ দু’টো প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।

Dreasing Meghna

নদীর নাব্যতা রক্ষায় ড্রেজিং (ফাইল ছবি)

বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মেঘনা নদীর ভাঙন হতে ফেরিঘাট এলাকা ও চরভৈরবী হতে কাটাখাল পর্যন্ত তীর রক্ষায় ৯২ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এ দু’টি অঞ্চলে নদীর নাব্যতা রক্ষায় ড্রেজিং কাজের জন্যে আরো ৯৮ কোটি টাকা ৭৭ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।

অপর প্রকল্পে মেঘনা নদীর ভাঙন রক্ষায় চাঁদপুর সদরের ইব্রাহীম ইউনিয়নের ফতেজংপুর হতে দক্ষিণে হাইমচরের ইশানবালার সীমানা পর্যন্ত তীর রক্ষায় ২শ’ ৪০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এ দু’টি অঞ্চলের মধ্যে ফতেজংপুর হতে উত্তরে শরীয়তপুর ফেরীঘাট পর্যন্ত তীর সংরক্ষণ ও নদীর নাব্যতা রক্ষায় ৬০ কোটি টাকা প্রকল্প ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিষয়টি বাস্তবায়নে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে।

চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডে কর্মরত হাইমচরের দায়িত্বে নিয়োজিত উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো.জাহাঙ্গীর হোসেন চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘প্রকল্প দু’টি বাস্তবায়িত হলে মেঘনার ভয়াবহ ভাঙন থেকে ফেরিঘাট রক্ষা পাবে। ড্রেজিংয়ের ফলে নদীর নাব্যতা ফিরে আসবে ও নৌ-চলাচল স্বাভাবিক হবে।

প্রকল্পের সুফল প্রসঙ্গে এ কর্মকর্তা আরো বলেন, মেঘনা নদীর ডান তীরে স্থানীয় জনবসতি, সরকারি-বেসরকারি স্থাপনাসহ অসংখ্য কৃষি জমি ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে।

প্রতিবেদক- আবদুল গনি
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৯:১৫ পিএম, ২ মার্চ ২০১৮, শুক্রবার
ডিএইচ