Home / চাঁদপুর / চাঁদপুর হরিনা ফেরিঘাট-চান্দ্রা চৌরাস্তা-ভাটিয়ালপুর সড়কের কাজ শুরু
ফেরিঘাট

চাঁদপুর হরিনা ফেরিঘাট-চান্দ্রা চৌরাস্তা-ভাটিয়ালপুর সড়কের কাজ শুরু

অবশেষে জনদুর্ভোগ লাগবে চাঁদপুর সদর উপজেলা হরিনা ফেরিঘাট চন্দ্রা চৌরাস্তা ও ফরিদগঞ্জ ভাটিয়ালপুর পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার ভাঙ্গা রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। অনেক দিন ধরে ফেরিঘাট সংযোগ গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি ভাঙ্গা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ বিষয়ে স্থানীয় পত্র পত্রিকায় ও অনলাইন পোর্টালে লেখালেখি হয়। তারপরেই এখানে এই ভাঙ্গা রাস্তার সংস্কার নির্মাণ কাজ করতে উদ্যোগ গ্রহণ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। বেশ কয়েকদিন ধরেই এর নির্মাণ কাজ চলছে।

১৪ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১১ কিলোমিটার ২৯০ মিটার এই রাস্তার নতুন করে কার্পেটিং কাজ এখন চলছে। রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু হওয়ায় এ রুটে চলাচলকারী যানবাহন চালকদের, স্থানীয়দের এবং চাঁদপুর হাইমচরের জনগণের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। ভুক্তভোগীদের দাবি রাস্তার কাজটি যেন টেকসই এবং মানসম্মত ভাবে করা হয়।

চাঁদপুর সড়ক জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সামছুজ্জোহা চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ভাটিয়ালপুর হতে চান্দ্রা চৌরাস্তা হয়ে হরিনা ফেরিঘাট পর্যন্ত এগারো কিলোমিটার এই রাস্তার মেনটেনেন্স সংস্কারকাজ এখন চলমান রয়েছে। আমরা প্রয়োজনীয় স্থানে গাইড ওয়াল নির্মাণ করছি। আশা করি, আগামী দুই মাস বা তার কাছাকাছি সময় কাজটি শেষ করতে পারবো। রাস্তাটি দীর্ঘদিন ভাঙ্গা ছিল, উন্নয়নকাজ করার ফলে দুর্ভোগ লাঘব হবে।

ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান হাসান টেকনো বিল্ডার্সের প্রতিনিধি মশিউর রহমান বলেন আমাদের প্রতিষ্ঠান অত্যন্ত সুনামের সহিত সড়ক বিভাগের অনেক রাস্তার কাজ করে আসছে ইনশাল্লাহ কাজের গুণগত মান বজায় রেখে আমরা এই রাস্তার কাজটি সম্পন্ন করব।

চাঁদপুর সদর উপজেলার হানাচর ও চান্দ্রা ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা সংযোগ এই রাস্তাটি চলাচলের জন্য প্রায় অযোগ্য হয়ে পড়েছিলো। এ রাস্তায় দুর্ভোগ পোহাতেন প্রতিদিন হাজারো মানুষ। প্রায় ঘটতো ছোট-বড় সড়ক দুর্ঘটনা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বেশিদিন হয়নি রাস্তা সংস্কার কাজ করা হয়েছিল। রাস্তাটি বিপজ্জনক অবস্থা দেখা দেয়। বিভিন্ন জায়গায় সৃষ্টি হয় বড় বড় গর্ত। প্রায়ই এসব গর্তে ছোট-বড় যানবাহন উল্টে গিয়ে ঘটেছে দুর্ঘটনা।

স্কুলের শিক্ষার্থীদেরও প্রতিদিন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই রাস্তা দিয়ে নিয়মিত আশপাশের চাঁদপুর সদর,হাইমচর ও ফরিদগঞ্জ এই তিন উপজেলার মানুষ চলাচল করেন। তারাও দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।

প্রতিবেদক: কবির হোসেন মিজি, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২