চাঁদপুর হরিণা ফেরীঘাটে আবারো ভয়াবহ ভাঙন

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’ এর প্রভাবের কারণে শুক্রবার থেকে মেঘনা নদীর ঢেউ ও বাতাসের তীব্রতা বাড়তে থাকে। এর ফলে সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়নের চাঁদপুর-শরীয়তপুর হারিণা ফেরীঘাটের দু’পাশের নদী পাড় ভাঙন শুরু হয়েছে।

শনিবার (২১ মে) বিকাল ৪টা থেকে শুরু হয়ে এখন পর্যন্ত ওই এলাকার বসত বাড়ি, দোকানপাট ক্রমেই মেঘনা গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে।
মেঘনার ঢেউ এই অবস্থা বিরাজ করলে রাতের মধ্যেই তলিয়ে যাবে বহুবাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

হুমকির মুখে রয়েছে চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরিঘাট। শুক্রবার থেকেই ফেরী চলাচল বন্ধ রয়েছে।

হরিণা ঘাটের ব্যবসায়ী বাচ্চু ও ওই গ্রামের সৈয়াল বাড়ীর আঃ মান্নান সৈয়াল জানান, ‘গত ক’দিন ধরে মেঘনার ঢেউ এর কারণে বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে। ঘুর্ণিঝড়ের কারণে ঢেউ এর তীব্রতা আরো বেড়ে যাওয়ার কারণে ধীরে ধীরে পাড় ভেঙে মেঘনা তলিয়ে যাচ্ছে। রাতের বেলায় কোনো বসত ঘর কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অন্যত্রে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। আল্লাহ যদি রক্ষা করে।’

নৌ-যান শ্রমিকলীগ চাঁদপুর জেলার সভাপতি বিপ্লব সরকার চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘বিকেলে হরিণা ফেরিঘাট এলাকায় আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শন করতে আসনে জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সবুর মন্ডলসহ সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ। এ সময় তারা মেঘনার ভাঙন এলাকাও পরিদর্শন করেন।’

চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘বিকেলে হরিণা ফেরিঘাট এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। ঘুর্ণিঝড়ের কারণে মেঘনা নদীর ঢেউ অতিরিক্ত বেড়েছে। এ কারণে হরিণাঘাটসহ আশাপাশের এলাকা মেঘনায় তলিয়ে যাচ্ছে। জরুরিভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে বলা হয়েছে।’

চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আতাউর রহমান চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘ভাঙন শুরু হওয়ার পর বিকেলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কয়েকজন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। বাতাস আর ঢেউ এর কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙন রোধে জরুরি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

]মাজহারুল ইসলাম অনিক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১০:৪০ পিএম, ২৪ মে ২০১৬, মঙ্গলবার
ডিএইচ

Share