পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে বাংলাদেশ রেলওয়ের যাত্রীদের নিরাপত্তা, টিকেট কালোবাজারী প্রতিরোধ কল্পে চাঁদপুর রেলওয়ে শ্রমিক লীগের আয়োজনে সোমবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে রেলওয়ে অফিসার্স রেষ্ট হাউজে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
চাঁদপুর রেলওয়ে স্টেশন মাষ্টার মোহাম্মদ হোসেন মজুমদারের সভাপতিত্বে ও রেল শ্রমীক লীগ চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি মাহবুবুর রহমানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, জেলা শ্রমীকলীগ সভাপতি নুরুল ইসলাম মিয়াজী, সাবেক সভাপতি শাহ আলম মিয়া, রেল শ্রমীকলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান, জেলা শ্রমীক লীগের দপ্তর সম্পাদক মিজানুর রহমান ভূঁইয়া, জেলা শ্রমীকলীগ নেতা মন্টু দেওয়ান, ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুর রহীম গাজী, রেল শ্রমীকলীগের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ সোলায়মান ভূঁইয়া, সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমীক ইউনিয়ন জেলা শাখার সভাপতি কাজী শাহরিয়ার হোসেন ফারুক, সাধারণ সম্পাদক মোঃ সলিম গাজী প্রমুখ।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্তে উপনিত হয় যে, চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রূটে চলাচল কারী আন্তঃনগর (মেঘনা এক্সপ্রেস), ঈদ স্পেশাল ১, ২ ট্রেনের ৪টি টিকেটের বেশি একজন যাত্রীকে টিকেট কাউন্টার থেকে দেওয়া হবে না। যাত্রীদের স্বাস্থ্য সেবা রক্ষার্থে অস্থায়ী মেডিক্যাল টিম গঠন করা হবে, রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনী ও জিআরপি পুলিশকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। যাত্রার সময় টিকেটের মূল্য যাত্রীদের উদ্দেশ্যে মাইকিং করে প্রচার করতে হবে। যাতে যাত্রীরা টিকেটের মূল্য সম্পর্কে বিভ্রান্তিতে না পরে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে দু’টি বেনার টানিয়ে স্টেশন এলাকায় যাত্রীদেরকে সচেতন করা হবে। চাঁদপুর-চট্টগ্রাম ঈদ স্পেশাল ট্রেনের প্রতি টিকেটের মূল্য ১শ’ টাকা, আন্তঃনগর (মেঘনা এক্সপ্রেস) এর শোভন শ্রেণী ১শ’ ৬৫ টাকা, শোভন চেয়ার ১শ’ ৯৫ টাকা ও প্রথম শ্রেণীর টিকেটের মূল্য ২শ’ ৬০ টাকা। রাত সাড়ে ৩টায় ঈদ স্পেশাল-১, সকাল ৫টায় আন্তঃনগর (মেঘনা এক্সপ্রেস), ও সকাল ৬টায় ঈদ স্পেশাল-২ চাঁদপুর থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে।
এ সময় স্টেশন মাষ্টার জানান, চাঁদপুর থেকে চট্টগ্রামে যাওয়া আন্তঃনগর (মেঘনা এক্সপ্রেস) এর ৪শ’ ৫০টি টিকেট চাঁদপুর স্টেশন থেকে যাত্রীদেরকে ভ্রমনের জন্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। প্রতিদিন ১৭টি বগি নিয়ে ট্রেনটি যাত্রা করবে। এছাড়া উপরোল্লিখিত সকল বিষয়ের সিদ্ধান্তে আমি যথাযথ ভাবে পালন করবো।এসময় বক্তারা বলেন, টিকেট কালো বাজারী হলে এর দায়দায়িত্ব স্টেশন মাষ্টারকেই বহন করতে হবে। প্রতিটি ট্রেন ছাড়ার ২ঘন্টা পূর্ব থেকে মাইকিং করে ট্রেনের টিকেটের মূল্য ও সময় সূচী প্রচার করে যাত্রীদেরকে অবহিত করতে হবে।
প্রসঙ্গত, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও টিকেট কালো বাজারী প্রতিরোধ কল্পে বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমীকলীগ চাঁদপুর জেলা শাখার পক্ষ থেকে ২১ আগষ্ট সোমবার একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটি গঠন সভায় সভাপতিত্ব করেন, রেলওয়ে শ্রমীকলীগ চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি মোঃ মাহবুবুর রহমান ও সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আঃ হান্নান। কমিটিতে স্টেশন মাষ্টার মোহাম্মদ হোসেনকে আহ্বায়ক ও রেলওয়ে শ্রমীকলীগ চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি মোঃ মাহবুবুর রহমানকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্যান্যরা হলেন, সদস্য সচিব রেলওয়ে শ্রমীকলীগ চাঁদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আঃ হান্নান, সম্মানিত সদস্য জাতীয় শ্রমীক লীগের চাঁদপুর শাখার সভাপতি নুরুল ইসলাম মিয়াজী, সাবেক সভাপতি মোঃ শাহ আলম মিয়া, পৌর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির হোসেন মন্টু দেওয়ান, ৭নং ওয়ার্ড পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আঃ রহিম গাজী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ গোলাম হোসেন, জেলা শ্রমীকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ ওহিদুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন, ব্যবসায়ী মোঃ রেজাউল ইসলাম।
প্রতিবেদক- শরীফুল ইসলাম
: আপডেট, বাংলাদেশ ১১ : ৫০ পিএম, ২৮ আগস্ট ২০১৭, সোমবার
ডিএইচ