ঐতিহ্যবাহী নদীমাতৃক জেলা চাঁদপুরে মেঘনা নদীর বুকে জেগে ওঠা বালুকাময় দ্বীপটি এখন পর্যটকদের কাছে বেশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। প্রতিদিনই দেশের কোনো না কোনো স্থান থেকে মানুষ বেড়াতে আসছেন।
জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত- এই তিন মাস বালুকাময় এই দ্বীপে ভীড় লেগে যায়। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিশেষ করে রাজধানী ঢাকা থেকে লঞ্চযোগে বিভিন্ন পেশা ও শ্রেণীর মানুষ বেড়াতে আসেন। জেলা আশেপাশের এলাকা থেকে তো আসছেনই। দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা এই দ্বীপটির নাম অনেকেই নিজেদের মতো করে মিনি কক্সবাজার বলছেন। কিন্তু এটা তো হবার কথা নয়। কক্সবাজার তো আছেই।
বৃটিশ নাগরিক কক্স’র নামানুসারেই কক্সবাজার নামকরণ হয়। কক্সবাজার’র নামানুসরণ করে চাঁদপুরের একটি নদী ঘেরা দ্বীপের নাম মিনি কক্সবাজার হোক এটা কোনোভাবেই ঠিক নয়।
আমরা মনে করি, চাঁদপুর জেলার ঐতিহ্য আছে। দেশবরেণ্য ব্যক্তিদের জন্মস্থানের একটি এলাকার নাম ওটা হতে পারে না। এ বিষয়ে চাঁদপুরের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে কথা বলেছি। নামকরণের বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। কেউ মিনি কক্সবাজার’র পক্ষে বলেননি। তারা একটি নামের মধ্যে একটি নামের বিষয়ে মত দিয়েছেন। সেটি হলো-” চাঁদপুর সৈকত “।
তাই আমিও মনে করি, মিনি কক্সবাজার নয়, আমাদের পর্যটন এলাকার নাম হোক ” চাঁদপুর সৈকত “।
প্রসঙ্গত, চাঁদপুরকে কীভাবে একটি আকর্ষণীয় পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তোলা যায়, এ নিয়ে ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা সাংবাদিক ফোরাম অনেকদিন ধরে কাজ করছে। আরেকটু কাজ গুছিয়ে আনার পর চাঁদপুরের কৃতি সন্তান, দুই বারের মন্ত্রী শিক্ষা মন্ত্রী বা. দীপু মনি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ, পুলিশের আইজি ড. জাবেদ পাটোয়ারী, ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শাহ কামাল, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মাকসুদুর রহমান পাটোয়ারী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, চ্যানেল আই’র পরিচালক শাইখ সিরাজসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে মতবিনিময় ও আলোচনা করে পরবর্তী ধাপে আমরা যাবো। এ বিষয়ে একাধিক লেখাও থাকবে পরবর্তীতে।
৬ মার্চ ২০২০