হাইমচরে চাঁদপুর সেচ প্রকল্প বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ধস দেখা দিয়েছে। এতে স্বয়ং পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষই বাঁধের সাড়ে সাতশ মিটার এলাকাকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বাঁধটি দ্রুত সংস্কারে ৩৬ কোটি টাকার প্রকল্প প্রেরণ করে বরাদ্দও চাওয়া হয়েছে।
এদিকে বাঁধের বিভিন্ন স্থানে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ও কংক্রিট ব্লক ধসে ভাঙন দেখা দিয়েছে। যে কোনো মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে ভয়াবহ ক্ষতির শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে এলাকাবাসী।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চাঁদপুর সেচ প্রকল্প মেঘনার ভাঙন থেকে রক্ষায় দুই পর্যায়ের দুটি বৃহৎ প্রকল্প সম্পন্ন করা হয়েছে। ১৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে সাড়ে ১০ হাজার মিটার বাঁধ তৈরি করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ৪৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে দুই হাজার ৭০০ মিটার বাঁধ ২০০৯-১০ অর্থ বছরে সমাপ্ত করা হয়। বর্তমানে এ বাঁধের ৫৫০ মিটার অতীব ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
এ বাঁধের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা সংস্কারের জন্য ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ৩০ কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। এছাড়া জরুরি কাজ বাস্তবায়নের জন্য দুই কোটি টাকার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো কোনোটির অনুমোদন মেলেনি।
দ্বিতীয় পর্যায়ে হাইমচরের চরভৈরবী এলাকায় ১৩৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সাত হাজার ৮৯৮ মিটার বাঁধ নির্মাণ করা হয়। যা ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে সমাপ্ত হয়েছে। এ বাঁধের ১৯০ মিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে বাকি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ মেরামতে আরও ছয় কোটি টাকা ব্যয় ধরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। যার অনুমোদন এখনো মেলেনি।
এদিকে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ছয় কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি বাঁধের গাজী নগর ও চরভৈরবী এলাকায় ২১৪ মিটার বাঁধ সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু এ কাজ নিয়েও এলাকায় ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে। অনেকের অভিযোগ, কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গির হোসেন জানান, অভিযোগ সত্য নয়। আর দুটি বাঁধের বাকি ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো সংস্কারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর ৩৬ কোটি টাকার প্রকল্প তৈরি করে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন মিললে দ্রুত কাজ শুরু হবে।
করেসপন্ডেন্ট
: আপডেট, বাংলাদেশ ০৮ : ২০ পিএম, ৯ আগস্ট ২০১৭, বুধবার
এইউ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur