চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে ৪দিনে দেড় শতাধিক শিশু রোগী ভর্তি

বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে আড়াই’শ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে বাড়ছে শিশু রোগীদের চাপ। গত ৪ দিনে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে প্রায় দেড় শতাধিক শিশু রোগী ভর্তি হয়েছে।এসব রোগীদের মধ্যে জ্বর, সর্দি, কাঁশি, ঠান্ডা জনিত শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বেশি বলে জানা গেছে।

বিছানা সংকটে হিমশিম খাচ্ছে রোগী ও রোগীর লোকজন সহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

১০ আগস্ট রোববার দুপুরে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালের তৃতীয় তলার শিশু ওয়ার্ডে সরজমিনে গিয়ে দেখাযায় হাসপাতালের শিশু বিভাগে প্রচুর রোগী ভর্তি রয়েছে। বিছানা সংকটে হাসপাতালের করিডোর এবং বারান্দার মেঝেতে বিছানা পেতে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন রোগীরা।

খবর নিয়ে জানাযায়, গত ৭ আগস্ট থেকে ১০ আগস্ট রোববার সন্ধ্যায় পর্যন্ত শিশু ওয়ার্ডে প্রায় দেড় শতাধিক শিশু রোগী ভর্তি হয়েছে।

এরমধ্যে গত ৭ আগস্ট শিশু ওয়ার্ডে সর্বমোট রোগী ভর্তি ছিল ১১১ জন। এদিন সারাদিনে নতুন করে ভর্তি হয়েছে ২৮ জন। ৮ আগস্ট শুক্রবার ভর্তি ছিল ৯৬ জন, নতুন করে ভর্তি হয় ৩৫ জন।

৯ আগস্ট শনিবার ভর্তি ছিল ১০৯ জন, নতুন সারাদিনে নতুন ভর্তি হয় ৩৮ জন।১০ আগস্ট ভর্তি ছিল ১০৭ জন এবং সারাদিনে ২৫ জন শিশু রোগী ভর্তি হয়েছে বলে জানান শিশু ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা নার্সরা। হিসেব করে দেখা গেছে ৪ দিনে সর্বমোট ১২৬ জন শিশু রোগী নতুন করে ভর্তি হয়েছে এবং এই ৪ দিনে সর্বমোট রোগীর ভর্তি সংখ্যা ছিলো ৫৪৯ জন।

এসব শিশু রোগীদের মধ্যে ৬ মাস থেকে এক দেড় বছর বয়সী শিশুর সংখ্যা বেশি এবং তারা জ্বর, ঠান্ডা,নিউমোনিয়া জনিত রোগে আক্রান্ত বেশি বলে জানিয়েছেন তারা।

সরজমিনে দেখা গেছে রোগীদের চাপে হাসপাতালের কোথাও ঠাঁই নেই। শিশু ওয়ার্ডের সবকটি বিছানা পরিপূর্ন হয়ে মেঝেতে ও রোগীদের জন্য বিছানা পাতা হয়েছে। এসব রোগীরা জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, খিচুনী এবং নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া ও অনেক শিশু রোগীকে অভিভাবকরা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নিয়ে চলে যান। একই ভাবে চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন বয়স্ক রোগীরাও।

এ ব্যাপারে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর এম ও) ডাঃ মোঃ আসিবুল আহসান চৌধুরীর চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। একই ভাবে অসুস্থ হচ্ছেন বয়োবৃদ্ধরাও। বিশেষ করে ঘরে ভাইরাস জ্বরে বৃদ্ধদের সাথে শিশুরাও হঠাৎ, জ্বর সর্দি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। তাই গত বেশ কিছুদিন ধরে হাসপাতালে শিশু রোগীদের প্রচুর চাপ দেখা দিয়েছে।

প্রতিবেদক: কবির হোসেন মিজি/ ১১ আগস্ট ২০২৫