চাঁদপুর

শীতের প্রভাবে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে বাড়ছে শিশু রোগীর সংখ্যা

প্রতি বছরই শীতের সাতে পাল্লা দিয়ে শিশু আর বৃদ্ধাদের অসুখও বেড়ে যায়। বিগত দিনের আলোকে বলাচলে এটিই যেনো এদেশের চিরায়ত নিয়ম হয়ে দাঁড়াচ্ছে। অন্যান্য বছরের মতো এবারও নদী বেষ্টিত জেলা চাঁদপুরে এর ব্যতিক্রম ঘটেনি।

শীতের প্রভাব বাড়ার সাথে সাথে সারা দেশের ন্যায় চাঁদপুরেও বেড়েছে শিশু আর বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা। তবে এ ক্ষেত্রে শিশু রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেশী বলা যায়।

জেলা প্রতিটি স্বাস্থ্যসেবকা কেন্দ্রের বিশেষ করে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের শিশু বিভাগগুলো প্রতিদিনই রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। এসকল চিকিৎসাসেবা কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পরিমানে বেড় না থাকায় হিমশিম খাচ্ছে দায়িত্বরত চিকিৎসকরাও। ফলে রোগী এবং তাদের পরিবারের দূর্ভোগ এখন চরম পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে।

গত মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় চাঁদপুরের প্রধান চিকিৎসাবেসা কেন্দ্র ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিভাগে এখন যেনো তিল ধারণেরও জায়গা নেই। সেখানে ঠান্ডা ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশু রোগির সংখা প্রকোপ আকার ধারণ করছে।

এই বিভাগে পর্যাপ্ত আসন না থাকায় রোগী এবং তাদের পরিবার সিমাহীন দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে। চিকিৎসা নিদে আসা অতিরিক্ত রোগীরা যে যেখানে পারছে বিছানা পেতে অবস্থান করছে।

শিশু বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা হাজেরা নামের একজন অভিভাবক বলেন, ‘একদিন আগে তিনি তার সন্তানকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। কিন্তু ১দিন পার হলেও আসন না পেয়ে ফ্লোরে থাকতে হচ্ছে। অতিরিক্ত রোগী আসায় আমরা দূর্ভোগের শিকার হচ্ছি।’

শিশু বিভাগের সিনিয়র নার্স হাসিনা বেগম বলেন, ‘শীত বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে প্রতিদিনই রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। অথচ কিছুদিন আগেও রোগীর সংখ্যা কম ছিলো। গতকাল পর্যন্ত প্রায় ১শ’ ২০ জনের অধিক রোগী ভর্তি হয়েছে। আর পর্যাপ্ত আসন না থাকায় আমরাও রোগীদের পর্যাপ্ত সেবা দিতে পারছি না।’

এই বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, ‘ঠান্ডজনিত অসুখ থেকে শিশুদের রক্ষা করতে মায়ের সচেতনা বাড়ানোর অনে প্রয়োজন। ৬মাসের বাচ্চাদের বেশি বেশি বুকের দুধ ছাড়া বাহিরের খাবার যেন বেশি না খাওয়ানো হয়। আর শীতের সময় বাচ্চাদের কাপড়ের দিকেও বিশেষ খেয়াল রাখার প্রয়োজন যেমন অতিরিক্ত কাপড় জড়িয়ে রাখলে শিশু ঘামাতেও পাড়ে তখন সেই ঘামের কারনে ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা বেশি থাকে।’

প্রতিবেদক:আশিক বিন রহিম

Share