আড়াইশ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে শুরু হয়েছে আইসিইউ স্থাপনের কাজ। গত বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট লোকজন এসে আইসিইউর তিনটি বেড ইনস্টল করেছেন। হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় এই আইসিইউ স্থাপন হচ্ছে।
বর্তমানে আনুষঙ্গিক কাজ করা হচ্ছে। অক্সিজেন সংযোগের লোক এসে হাসপাতালের নিচতলায় থাকা বর্তমান সেন্ট্রাল অক্সিজেন থেকে আইসিইউতে সংযোগ দিবে বলে জানা গেছে।
নির্মাণাধীন লিকুইড অক্সিজেন ট্যাঙ্ক পুরোপুরি চালু হওয়ার আগ পর্যন্ত বর্তমান সেন্ট্রাল অক্সিজেন থেকেই আইসিইউতে অক্সিজেন সরবরাহের কাজ চলবে।
এ বিষয়ে কথা হয় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ হাবিব উল করিমের সাথে। তিনি বলেন, অবিশ্বাস্য দ্রুতগতিতে কাজ চলছে। এর জন্যে অবশ্য শিক্ষামন্ত্রীর প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। তত্ত্বাবধায়ক বলেন, শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি চাঁদপুরবাসীর জন্য আশীর্বাদ। তাঁর দ্বারাই সম্ভব হয়েছে চাঁদপুরে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আরটি পিসিআর ল্যাব করা এবং হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন করা। এখনো আইসিইউ স্থাপনের কাজ তাঁর কারণেই খুব দ্রুত চলছে। তিনি এবং তাঁর ভাই ডাঃ জে আর ওয়াদুদ টিপু খুব সিরিয়াসলি বিষয়টি তদারকি করছেন। টিপু ভাই প্রায় প্রতিদিন এ বিষয়ে আমাকে ফোন দেন, এ বিষয়ে তাঁর সাথে কথাও হয়।
তিনি জানান, আইসিইউর জন্যে প্রশিক্ষিত লোকবলের বিষয়টি মন্ত্রী মহোদয় সক্রিয়ভাবে দেখছেন। এ সময় তত্ত্বাবধায়ক এই প্রতিবেদককে আইসিইউর বিষয়ে সংক্ষিপ্ত ধারণা দেন।
জেলার সর্ববৃহৎ এই হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় বর্তমানে চক্ষু ওটি রুমে অস্থায়ীভাবে আইসিইউ হচ্ছে। হাসপাতালে চক্ষু কনসালটেন্ট কয়েক বছর যাবত না থাকায় এখানে চক্ষু অপারেশন কাজ বন্ধ। তাই বর্তমানে প্রয়োজন মুহূর্তে এই রুমটি আইসিইউর জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
যে কোম্পানি থেকে আইসিইউর বেড সরবরাহ করা হয়েছে সেই কোম্পানি তথা জি টেক সলিউশন-এর সিনিয়র নির্বাহী তৌফিক ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, তারা হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় আইসিইউর তিনটি বেড ইনস্টল করে গেছেন। যেখানে বেড ইনস্টল করা হয়েছে, সেখানে যে জায়গা আছে, তাতে পাঁচটি বেডের আইসিইউ সুন্দরভাবে চালানো যাবে বলে তিনি জানান।
তৌফিক ইসলাম আরো জানান, তার সাথে তার কোম্পানির এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সারোয়ার জাহান ছিলেন। আর স্থানীয় পর্যায়ে ছিলেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ হাবিব উল করিম, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহ, হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (এনেস্থেসিয়া) ডাঃ আবু সাদাত মোঃ সায়েম এবং হাসপাতালের কিছু সিনিয়র নার্স। তিনি জানান, যেভাবে কাজ চলছে, যদি আইসিইউর জন্যে উপযোগী ডাক্তার, নার্সসহ অন্য লোকবল নিয়োগ হয়ে যায়, তাহলে আগামী ১৫ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে আইসিইউ চালু করা যাবে।
জানা গেছে, দশ বেডের আইসিইউর জন্যে একশ’র উপরে লোকবল লাগে। এঁরা শুধুমাত্র আইসিইউর জন্যে নির্ধারিত। চবি্বশ ঘণ্টা পর্যায়ক্রমে তাদের ডিউটি করতে হয়। সে হিসেবে তিন কি চার বেডের জন্যে কমপক্ষে ৩০ থেকে ৩৫ জন জনবল লাগবে। সরকারিভাবেই তাঁদের এখানের জন্যে নিয়োগ দিতে হবে। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জানান, লোকবলের চাহিদা উপরে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রী মহোদয়ও জোরালোভাবে চেষ্টা করছেন।
প্রতিবেদক:কবির হোসেন মিজি,২৪ এপ্রিল ২০২১