Home / চাঁদপুর / চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালের অনিয়ম-১

চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালের অনিয়ম-১

মঙ্গলবার, ০৯ জুন ২০১৫ ১১:৪২ অপরাহ্ন

মামুন আর রশিদ :

কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালের অনিয়ম। হাসপাতালের ৪র্থ শ্রেণীর কর্মকর্তা থেকে পরিচালক পর্যন্ত , যে যার ইচ্ছেমতো হাসপাতালে আসে আর যায়। এ যেন মগের মুল্লুক।

অন্যদিকে হাসপাতালে পর্যাপ্ত ঔষধ থাকা সত্ত্বেও ঔষধ পাচ্ছে না রোগীরা। একরকম বাধ্য হয়েই বাইরে থেকে ঔষধ ক্রয় করতে হচ্ছে। তাও ভালো ছিলো যদি ‘ন্যায্যমূল্যে’র ঔষধের দোকানে ন্যায্যমূল্যে ঔষধ পাওয়া যেত।

সেখানে চলছে নানা অনিয়ম। চাঁদপুর সদর হাসপাতাল কর্তৃক লীজপ্রাপ্ত হয়ে ওই হাসপাতালের সামনে একটি ন্যায্যমূল্যের ঔষধের দোকান দেওয়া হয়। ওই দোকানে বড় করে ‘ন্যায্যমূল্যের ঔষধের দোকান’ লেখা থাকলেও কেউ তা সঠিকভাবে পায় বলে জানা যায়নি।

এ ব্যাপারে মো. রুবেল নামে এক ভুক্তভোগী ঔষধ ক্রেতাকে চাঁদপুর টাইমস-এর প্রতিবেদক ওই দোকান থেকে ঔষধ ক্রয় ও কমিশন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি যেন আকাশ থেকে পড়লেন! আর বইলেন না, আমরা তো এত কিছু জানি না, ওষুধ কেনার প্রয়োজন, তাই কিনি- এইতো। কমিশন-টমিশন সম্পর্কে আমরা জানি না।

বিষয়টি সম্পর্কে আরো নিশ্চিত হওয়ার জন্য এ প্রতিবেদক নিজেই ক্রেতা সেজে ওষুধ ক্রয় করতে চলে গেলে তিনি ন্যায্যমূল্যের ঔষধের ওই দোকান থেকে ন্যায্যমূল্য না পেয়ে দোকানদারকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি কোনো উত্তর না দিয়েই চলে যান। পরে কিছুক্ষণ পর অপেক্ষা করে বলেন, ‘আমরা কিছু কিছু ঔষধে ক্রেতাকে কমিশন দেই।’

‘তো কত পার্সেন্ট কমিশন দেন? তিনি জানান, ‘১০ %।’ কিন্তু কমিশন দেওয়ার কথা তো ১৬ %’ এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি নিরুত্তর থাকেন।

ভুক্তভোগী ঔষধ ক্রেতারা আরো জানান, ‘আমরা আমাদের প্রয়োজনে খুব দ্রুত ঔষধ নিতে এখানে আসি। আবার অনেক সময় দ্রুতই ঔষধ নিয়ে আমাদেরকে চলে যেতে হয়। তাই আমাদেরকে ঠকানো হলেও ন্যায্যমূল্যের বিষয়টি নিয়ে অনেক সময় ভাবারও সময় পাই না।’

 

চাঁদপুর টাইমস : এমআরআর/২০১৫

চাঁদপুর টাইমসর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না