করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে পার্সোনাল প্রটেকটিভ ইক্যুপমেন্ট (পিপিই) এর অভাবে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে আড়াই,শ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আউটঢোর এবং ইনডোরের কর্মরত চিকিৎসকরা। প্রতিদিন যেখানে জেলার একটি প্রধান স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে শত শত সাধারণ মানুষকে চিকিৎসেবা প্রধান করেন চিকিৎসকগন অথচ সেই চিকিৎসকদের নিরাপত্তার জন্য করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে এখনো পর্যন্ত সরকারি ভাবে কোন বিশেষ পোষাক দেয়া হয়নি।
অথচ দেখা গেছে জেলার এই সরকারি হাসপাতালটির আউটডোর এবং ইনডোরে প্রতিদিনই বিভিন্ন রোগ নিয়ে চিকিৎসাসেবা পেতে শত, শত রোগী ভিড় করে থাকেন। আউটডোরের এসব রোগীরা টিকেট সংগ্রহ করে যার ,যার রোগ অনুযায়ী আলাদা,আলাদা ভাবে ডাক্তার দেখিয়ে থাকেন। তাই এক্ষেত্রে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে আউটডোরের রোগী দেখার চিকিৎসকগন।
গত কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে গিয়ে সরজমিনে দেখা গেছে, হাসপাতালের আউটডোর এবং ইনডোরের যেসকল চিকিৎসকরা প্রতিদিন নিয়মিত রোগীদের সেবা দিয়ে থাকেন, তাদের কারো শরীরেই বিশেষ কোন পোষাক পরিধান নেই। যেখানে এসব চিকিৎসকদের সরকারি ভাবে পার্সোনাল প্রটেকটিভ ইক্যুপমেন্ট (পিপিই) দেয়ার কথা। সেখানে তারা শুধুমাত্র নিজেদের টাকায় কেনা একটি মাস্ক ব্যবহার করে স্বাভাবিক পোষাক পড়েই নিয়মিত রোগী দেখছেন।
খবর নিয়ে জানা গেছে মরনঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হলেও জেলার এই হাসপাতালটির চিকিৎসকদের নিজেদের নিরাপত্তার জন্য সরকারি ভাবে আজো কোন মাস্ক, কিংবা বিশেষ পোষাক দেয়া হয়নি। শুধু কর্মরত চিকিৎসকরাই নয় স্বাস্থসেবার ক্ষেত্রে হাসপাতালে কর্মরত নার্স, ব্রাদারও তাদরে নিরাপত্তার জন্য পার্সোনাল প্রটেকটিভ ইকুয়েপমেন্ট (পিপিই) পায়নি। তাই চিকিৎসক এবং নার্সদের আতংক যদি কখনো সরকারি এ হাসপাতালটিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কোন রোগী আসেন,তাহলে পার্সোনাল প্রটেকটিভ ইক্যুপমেন্ট (পিপিই) পোষাকের অভাবে চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে চিকিৎসক এবং নার্সদের পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবায় সংলিস্ট যে কোন ব্যাক্তিই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ঝুঁকিতে রয়েছেন।
এরপর থেকেই দেখা গেছে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আউটঢোরে প্রচন্ড রোগীদের ভিড়। গত কয়েক ,দিনের ভিড়ে রোগীদের কাছে খবর নিয়ে জন গেছে। আউটঢোরের বেশির ভাগ রোগীই সামন্য জ্বর, সর্দি, কাশি, মাথা ব্যথা জনিত কারণে হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে এসেছেন।
তবে এ বিষয়ে হাসপতালের বেশ দায়িত্বরত চিকিৎসকের সাথে আলাপ করে জানা গেছে অধিকাংশ রোগীরই ভয়ে একটু জ্বর, সর্দি কাশি,র সমস্যা নিয়ে ডাক্তার দেখাতে এসেছেন। সচেতনতার নির্দেশনা মানছেনা কোন রোগী। তাই ঝুঁকিতে রয়েছে চিকিৎসক ও নার্সরা।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর এম ও) ডাঃ মোঃ আসিবুল আহসান চৌধুরীর সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, চিকিৎসকদের জন্য গ্লাপস, মাস্ক এবং এবং বিশেষ ভাবে বিশুদ্ধকরণ অটি ড্রেস(অপারেশন থিয়েটারে ব্যবহারিত পোশাক) আজকে থেকে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। আমাদের কাছে আজ পিপিই টা এসেছে, আগামীতে পর্যায়ক্রমে আরো কিছু আসবে। আগামীকাল কাল থেকে চিকিৎসকরা তা হাতে পাবেন। তাদের নিরাপত্তার জন্য সেগুলো পড়ে প্রতিদিন ডিউটি পালন করবেন। তারা হাসপাতালে এসে অটি ড্রেস পড়ে দায়িত্ব পালন শেষে তা খুলে রাখবেন পরদিন আবার নতুন অটি ড্রেস পড়ে এভাবে প্রতিদিন নিয়মিত দায়িত্ব পালন করবেন।
কবির হেসেন মিজি,২২ মার্চ ২০২০