চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতভাবে উত্তোলন করার মাধ্যমে চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের কার্যক্রম শুরু হয়।

কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ মাসুদুর রহমান এর নেতৃত্বে পতাকা উত্তোলন করা হয়। কলেজের সকল শিক্ষক ও কর্মচারী সকাল ৭:০০ টায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার এবং কলেজ শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সকাল ৮:৩০ টায় কলোজের শেখ রাসেল দেয়ালিকায় “শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস” উপলক্ষে রচিত দেয়ালিকা উন্মোচন করেন কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ মাসুদুর রহমান। সকাল ৯:০০ টায় কলেজ অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

মাহমুদা আক্তার পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত এবং প্রীয়া রানী দাস গীতা পাঠের মাধ্যমে আলোচনা সভা শুরু হয়। কলেজের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কমিটির আহ্বায়ক ড. মো: মাসুদ হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সমাজকর্ম বিভাগের প্রভাষক আলআমিন এর সঞ্চালনায় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো: মাসুদুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপাধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল খয়ের খান ও শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ও ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোহাম্মদ এনামুল হক। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. কানিজ ফাতেমা, রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোঃ আফসার আলী শিকদার, প্রমুখ।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, “ভাষা শহিদরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের অবদানের জন্যই বাংলা ভাষা রাষ্ট্র ভাষার মর্যাদা পেয়েছে এবং এরই ধারাবাহিকতায় বাংলা ভাষাকে কেন্দ্র করে ২১ শে ফেব্রেুয়ারি বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের মাধ্যমেই ১৯৫২ সালের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন চুড়ান্ত রূপ পায়। ২১ ফেব্রুয়ারি আমাদের প্রেরণার উৎস, বাঙ্গালি জাতির আশা আকাঙ্খার প্রতীক এবং এই ধারাবাহিকতায় বাংলা ভাষা ভিত্তিক যে বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদের সৃষ্টি হয়েছে তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে পাকিস্তান আমলের প্রতিটি আন্দোলনে এবং এর মাধ্যমেই স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটেছে। ৫২ এর ফেব্রুয়ারি ২১ এর ভাষা শহিদদের আত্মত্যাগের তাৎপর্য বর্তমান প্রজন্মকে বুকে ধারণ ও লালন করতে হবে। তবেই শহিদদের আত্মা শান্তি পাবে। বর্তমানে আমাদের দাবি হলো বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা।”

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছাত্রীরা ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী থেকে পাঠ, কবিতা আবৃতি ও ভাষার গান পরিবেশন করেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন সাইদা রহমান, সানজিদা আফরিন, মাহমুদা আক্তার, প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সভাপতি সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানে কলেজের সকল শিক্ষক, কর্মচারী, বিএনসিসি, গার্ল ইন রোভার, রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের সদস্যরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে অংশগ্রহণ করে।

Share