চাঁদপুর

চাঁদপুর সদর হাসপাতালে চলছে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজ

আড়াই’শ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে চলছে সেন্ট্রাল অক্সিজেন (হাইফ্লো অক্সিজেন) প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজ।৬ জুলাই সোমবার সকাল থেকেই এই কাজ শুরু করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্পেকট্রা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ৭ সদস্যের একটি টিম।

এর পূর্বে রোববার বিকেলে হাসপাতালটিতে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপনের টেকনিক্যাল টিম এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্পেকট্রা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের কর্মকর্তারা হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। প্রতিষ্ঠানটির এ জি এম ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর আলম ও সাইট ইঞ্জিনিয়ার সাইফ চৌধুরী হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডের বাইরে থেকে পরিদর্শন করেন এবং তৃতীয় তলায় যে দুটি কেবিন কভিড রোগীদের জন্য বরাদ্দ থাকবে সেগুলোও দেখেন।

একইসঙ্গে হাসপাতালের পূর্ব পাশের নীচতলায় গাইনি ওয়ার্ডের একটি অংশও তাঁরা দেখেন। যেখানে অক্সিজেন প্ল্যান্টের সিলিন্ডারসহ মেশিনপত্র সবকিছু থাকবে এবং এখান থেকেই অক্সিজেন সাপ্লাই হবে। ওই রাতেই ঢাকা থেকে অক্সিজেন স্থাপনের সরঞ্জামদী চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে এসে পৌছেছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট কাজের জন্য রোববার রাতেই হাসপাতালের মুল ভবনের ২য় তলার আইসোলেশনে থাকা রোগীদের পূর্বের আলাদা ভবনের আইসোলেশন ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে। একই সাথে হাসপাতালের যেসকল ওয়ার্ডে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপন করা হবে সেগুলোকেও খালি করে দেয়া হয়।

সোমবার সকালে হাসপাতালে সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, হাসপাতালের মুল ভবনের ২য় তলার আইসোলেশন ওয়ার্ড এবং নিচ তলার গাইনী ওয়ার্ডে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজ শুরু করেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্পেকট্রা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের কয়েকজন স্টাফরা। তারা জানান, এই কাজের জন্য তারা মোট ৭জন সদস্য রয়েছেন।

এর মধ্যে ১ জন ইঞ্জিনিয়ার, ২ জন সহকারী ইঞ্জিনিয়ার এবং ৪ জন স্টাফ। আর এই ৪জন স্টাফই ইঞ্জিনিয়ারদের দিক নির্দেশনা মতে অক্সিজেন প্লান্টের কাজ করবে বলে তারা জানিয়েছেন। এছাড়া দেখা গেছে হাসপাতালের পূর্ব পাশের নীচতলায় গাইনি ওয়ার্ডের একটি কক্ষে অক্সিজেন, তামার পাইপ,বাল্ব চাবি, অক্সিজেন আউটলেট সহ বিভিন্ন সরঞ্জামদী সেখানে রাখা হয়েছে।যেখানে অক্সিজেন প্ল্যান্টের সিলিন্ডারসহ মেশিনপত্র সবকিছু থাকবে এবং এখান থেকেই হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে অক্সিজেন সাপ্লাই করা হবে।

জানা যায়, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি তার ভাই ডা.জে আর ওয়াদুদ টিপুর পিতার নামকৃত ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ মেমোরিয়াল ট্র্যাস্টের অর্থায়নে সরকারি এ হাসপাতালটিতে এই সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন করা হচ্ছে। আর এর দ্বারা কোভিড অথবা নন-কভিড রোগীদের মধ্যে যারা প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের অভাবে মারা যেতেন সেটা আর হবে না। এই হাই ফ্লো অক্সিজেনে প্রতি রোগীকে ঘণ্টায় ৭০ থেকে ৮০ লিটার অক্সিজেন দেওয়া যাবে। তবে বর্তমান ব্যবস্থাপনায় দেওয়া যাচ্ছে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ২০ লিটার।

সেন্ট্রাল অক্সিজেন (হাইফ্লো অক্সিজেন) প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজ করতে আসা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্পেকট্রা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের স্টাফরা জানান, আগামী ৪/৫ দিনের মধ্যে এই অক্সিজেন স্থাপনের কাজ সম্পন্ন করা হবে। আর শুক্রবারে মধ্যে কাজ শেষ হলে শনিবার থেকে হাসপাতালে ভর্থিকৃত রোগীরা পাবে এই সেন্ট্রাল অক্সিজেন (হাইফ্লো অক্সিজেন)। আর এতে করে আইসোলেশনে থাকা করোনা আক্রান্ত রোগীরা সহ সাধারণ রোগীরাও অনেক উপকৃত হবে।

স্পেকট্রার এজিএম ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর আলম জানান, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী পাঁচদিনের মধ্যে ইনশাআল্লাহ পুরো কাজ শেষ করা সম্ভব হবে। আর তখন থেকেই আইসোলেশন ওয়ার্ডে রোগীদের প্রয়োজন সাপেক্ষে হাই ফ্লো অক্সিজেন সরবরাহ করা যাবে।

প্রতিবেদক:কবির হোসেন মিজি,৭ জুলাই ২০২০

Share