চাঁদপুর

চাঁদপুর সদর যুবলীগের পরিচিতি সভা সম্পন্ন

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চাঁদপুর সদর উপজেলা শাখার নব গঠিক আহ্বায়ক কমিটির পরিচিতি সভা শনিবার (২২ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়ে।

নব গঠিত কমিটির পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ মো. ইউসুফ গাজী, রাজনীতিবিদ ও চিকিৎসক ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ আখন্দ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন (এসডু) পাটওয়ারী।

মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেন, এই আয়োজনের যে স্বতঃস্ফুর্ততা এতে বুঝা যায় আওয়ামলীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিলো। আওয়ামীলীগ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালীদের একত্রিত করেছিলেন। আমরা সকল বাধাকে অতিক্রম করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছি।

আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতির জনকের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ করছেন। আজকের এই দিনে জাতির জনকের সোনার বাংলা গড়তে আমরা প্রতিশ্রুতি বদ্ধ এই হোক আমাদের অঙ্গিকার।

তিনি বলেন, এই দেশ পাকিস্তান নামক একটি দেশ ছিলো কিন্তু বঙ্গবন্ধু এই দেশকে স্বাধীন করে বাংলাদেশকে অর্থনীতির দেশে রূপান্তির করেছেন। আগে বাঙালি জাতি ছিলো সুশিত, নির্যাতিত, পরাধীন একটি ঘুমন্ত জাতি। বঙ্গবন্ধু এই জাতিকে জাগ্রত করেছিলেন। যুদ্ধের জন্য সকলকে প্রস্তুত করেন। বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাসনের মাধ্যমে সকল নির্দেশ দিয়েছে। ১৯৭১ সালের যুদ্ধের মাধ্যমে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ পরিচালিত হয়। বঙ্গবন্ধু সেই সময় থেকেই চেয়েছিলেন একটি সমৃদ্ধশলী দেশ। যে বাংলাদেশ প্রত্যেকটি নাগরিক উন্নত ভাবে জীবন-যাপন করবে। বাংলাদেশ একটি মধ্যম রাষ্ট্রে পরিণত হবে এটা ছিলো বঙ্গবন্ধুর সপ্ন।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু জখন পুনর্গঠন করেছিলেন তখন স্বাধীনতা বিরোধীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিলো। হত্যার মধ্যদিয়ে এই দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্র রূপারন্তর করতে চেয়েছিলো। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে সাধারণ মানুষের মুখের ক্রাস কেরে নিয়েছে, সম্পদ লুটপাট করেছে। আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ক্ষমতায় এসেছি। আমরা কিছুটা হলেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত করেছি। আমাদের মৌলিক চাহিদাগুলো এখন দেশের মানুষ পাচ্ছে। অন্য, বাসস্থান, চিকিৎসাসহ সকল সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে দেশের জনগন। খাদ্যের নিরাপত্তা হয়েছে, বিদ্যুতের সয়ংসম্পূর্নতা হয়েছে। বাংলাদেশ এখর আর কেউ অসুখি নয়। সুখি-সমৃদ্ধ ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে একমাত্র জননেত্রী শেখ হাসিনা কাজ করেছেন।

তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা শ্রমজীবি মানুষের জন্য কাজ করেছেন। তিনি তাদের মর্যাদা দিয়েছেন। আগে শ্রমিকদের যে পরিমান কস্ট করতে হতো এখন তা করতে হয় না। আজকে প্রত্যেকটি ছেলে-মেয়ে স্কুলে যায়। যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত, সে জাতি তত বেশি উন্নত। এই লক্ষ রেখে ২০২৫ সনে শতভাগ এই জাতি শিক্ষত হবে তার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। তিনি মানুষের মৌলিক চাহিদা গুলো সমান্তরাল ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আর এই কাজে বেঘাত ঘটাচ্ছেন খালেদা জিয়া। তিনি জঙ্গি-নাশকতা সৃষ্টি করে দেশের শন্তি নস্ট করছেন। তারা এখন সক্রিয়। তারা আবার এই অপকর্ম করে ক্ষমতায় আসতে চায়। তারা মানুষকে মিথ্যা ইতিহাস শিখাতে চায় কিন্তু আমরা আওয়ামীলীগ থাকতে তাদের সেই স্বপ্ন কখনো পূরন হতে দিবো না। তার জন্য আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা যদি নিজেদের ভুল বুজাবুজি দুর করে একত্রিত হয়ে কাজ করে তাহলে কেউ আমাদের রুখতে পারবে না। আসুন আমরা আওয়ামলীগ ঐক্যবদ্ধ হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এগিয়ে নিয়ে যাই।

সদর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হুমায়ন কবির সুমন পাটওয়ারীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক শিমুল হাসান সাম্মু এবং তাজুল ইসলাম মিয়াজীর যৌথ পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী এরশাদ মিয়াজী, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল, জেলা কৃষলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হান্নান সবুজ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতাউর রহমান পারভেজ, পৌর যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মালেক শেখ, যুগ্ম আহ্বায়ক সফিকুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন বাবু পাটওয়ারী, সদর উপজেলা যুবলীগের সদস্য মোরশেদ আলম মিয়া, শাহাজাহান পাঠান, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবিএম রেজওয়ান, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন গাজী।

এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ১নং বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি কাজল জমাদার, ২নং আশিকাটি ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম মাল, ৩নং কল্যাণপুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সুমন, ৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়েনের সভাপতি ফারুক বেপারী, ৫নং রামপুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মহসিন, ৬নং মৈসাদী ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস, ৭নং তরপুরচন্ডী ইউনিয়নের আহ্বায়ক শেখ সো, তাজুল ইসলাম, ৮নং বাগাদী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রুবেল, ৯নং বালিয়া ইউনিয়নের সভাপতি মো. দেলোয়ার লক্ষীপুর ইউনিয়নের সভাপতি মো. জহির, ইব্রাহীমপুর ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহরে আলী, চান্দ্রা ইউনিয়নের সভাপতি কালাম, হানারচর ইউনিয়নের সভাপতি মো. টিটু ও রাজরাজেস্বর ইউনিয়নের সভাপতি মো. আলাউদ্দিন বেপারী।

উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামলীগের সাবেক উপ-সহ প্রচার সম্পাদক হাসান ঈমাম বাদশা, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহিদুল ইসলাম রোমান, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আইয়ুব আলী বেপারী, জেলা স্বচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জাফর ইকবাল মুন্না, ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি হেলাল হোসাইন, সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ মো. মোতালেব, জেলা যুবলীগের সদস্য মাঈনুল হায়দার চৌধুরী, হারুনুর রশিদ হাওলাদার, আব্দুল গনি, নজরুল ইসলাম বাদল, আজিজুল ইসলাম তুহিন।

প্রতিবেদক- শরীফুল ইসলাম
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৫: ০৩ পিএম, ২২ এপ্রিল ২০১৭, শনিবার
ডিএইচ

Share