শীর্ষ সংবাদ

চাঁদপুর সদর কল্যাণপুরে ৩২ বস্তা চাল জব্দ : চেয়ারম্যানের বাড়ি ভাংচুর

চাঁদপুর সদর উপজেলার কল্যাণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি পাটোয়ারীর বাড়ি থেকে অন্যত্র নেওয়ার সময় নসিমনসহ ৩২ বস্তা ত্রাণের চাল আটক করে স্থানীয় এলাকাবাসী। পরে তারা চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করলে তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। তবে চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে থেকে দাবি করা হয়েছে এটি অস্থায়ী কার্যালয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা আক্রমণ করেছে।

১৬ এপ্রিল বুধবার রাত ১০ টায় ইউনিয়নের গাজীরহাট এলাকায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা ও সদর সার্কেল জাহেদ পারভেজ চৌধুরীর উপস্থিতিতে ৩২ বস্তা চাল ও নসিমনটি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে উপজেলা পরিষদে নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ধ্যা ৭ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত চলে এ হট্টগোল।

বিক্ষুব্দরা জানায়, ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি পাটোয়ারী অসহায়দের মাঝে কিছু বিলি করার পর তার বাড়িতে গোপনে ৩২ বস্তা চাল লুকিয়ে রাখেন। চেয়ারম্যান রনি তার বাড়িতে মজুদ করা চাল রাতের আধারে একটি নসিমনে করে পাচার করার চেষ্টা করেন। পথিমধ্যে দক্ষিণ দাসাদী গ্রামের গাজীর হাট বাজারে নসিমন ভর্তি ত্রাণের চাল দেখে লোকজন তা আটকে রেখে পুলিশকে খবর দেয়। মূহুর্তেই সহস্রাধিক লোক ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষোভ করতে থাকে। বিক্ষুব্ধ জনতা চেয়ারম্যান রনি পাটওয়ারীর বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে। এসময় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও রনি পাটওয়ারীর সহযোগী সফিকুল ইসলাম সফুকে বিক্ষুব্ধ জনতা বেধম মারধর করে আহত করে। এসময় পুলিশ উত্তেজিত জনতাকে শান্ত রাখার চেষ্টা করেন।

ইউনিয়নের হান্নান খান, জুয়েল, আরশাদ পাটওয়ারী, সুমন হাওলাদার, জাকির, শাখাওয়াত, রাজন, সুমন পাটওয়ারী, জসিম খান আরও কয়েকজন জানান, আমরা অনেক কষ্টে আছি। আমাদের কোন সহায়তা না দিয়ে চেয়ারম্যান রনি সরকারি চাল পাচার করেন। মুখ দেখে রনি চেয়ারম্যান চাল বিতরণ করেন। মোবাইল নাম্বার ও আইডি কার্ড নিছে। দিবে বলে আর দেয় না। আমরা বিচার চাই।

রাত সাড়ে ৯টায় চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিয়ে বিক্ষুদ্ধ জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, ইউনিয়নে ৬ টন চাল বরাদ্দ হয়েছে। যারা চাল পান নাই। চাল পাওয়ার যোগ্য তাদের কে চাল দেওয়া হবে। তার বিরুদ্ধে যদি কোন অভিযোগ থাকে, তাহলে আপনারা লিখিত দেন আমরা ব্যবস্থা নেব। আপনারা সকলে বাড়ি চলে যান।

নসিমন চালক আক্তার জানায়, ৩২ বস্তা চাউল আমি চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে তার অস্থায়ী কার্যালয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী আমাকে বাধা দেয়।

সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ১৫ এপ্রিল ২০২০

Share