চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদ অপরাধ দমনের মাধ্যমে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে একজন দক্ষ পুলিশ কর্মকর্তায় পরিণত হয়েছেন। চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ বিপিএম (বার) এর নির্দেশনায় চাঁদপুর সদর মডেল থানা কে তিনি অপরাধমুক্ত করতে নিরলসভাবে কাজ করছেন। নানান কৌশল অবলম্বন করে অল্প দিনের মধ্যেই জন সাধারণের কাছে তিনি প্রিয় ওসি’র সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। ওসি মুহাম্মদ আবদুর রশিদের নেতৃত্বে থাকা এস.আই, এ.এস.আই ও নারী-পুরুষ পুলিশ সদস্যরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
মুহাম্মদ আবদুর রশিদ ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি চাঁদপুর সদর মডেল থানায় ওসি হিসেবে যোগদান করেন। তিনি যোগদানের পর চাঁদপুর সদর মডেল থানায় ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারী মাস থেকে ২০২২ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত ১৪ মাসে ব্যাপক সফলতা তিনি অর্জন করেন। তিনি এ থানায় দায়িত্ব নেওয়ার পর চাঁদপুর সদর মডেল থানায় রুজুকৃত ১৯১টি মাদক মামলায় ২২৬ জন আসামীসহ ৮,৯১৭ পিস ইয়াবা, ৫৭ কেজি ৬৫০ গ্রাম গাঁজা ও ১০০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। নিয়মিত মামলা ১৩০৯ জন, পুলিশ আইনের ৩৪ ধারায় ১২১৯ জন, ফৌঃ কাঃ বিঃ ৫৪ ধারায় ৪৩ জন, ফৌঃ কাঃ বি ১৫১ ধারায় ১৮ জনসহ সর্বমোট ২৫৮৯ জন আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোর্পদ্দ করা হয়। ১টি ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন, মামলা ও জিডি মূলে ১৪৬ টি মোবাইল সেট, ২টি অটো রিক্সা, ৩টি চোরাই গরু উদ্ধার করা হয়। এছাড়া কোর্ট হতে প্রাপ্ত গ্রেফতারী পরোয়ানা জিআর-৯৬৭, সিআর-৮৩৭, জিআর সাজা-১৬৫, সিআর সাজা-১২৫, সর্বমোট-২০৯৪ টি প্রাপ্ত হইয়া জিআর তামিল-৭৫৪, সিআর তামিল-৮৭, সিআর সাজা তামিল-৭২, মোট-১৫১১ জন আসামীকে আদালতে সোর্পদ্দ করাসহ অন্যান্যভাবে মোট-১৩০৭টি পরোয়ানা নিষ্পত্তি করা হয়। গ্রেফতারী পরোয়ানা মূলে সর্বমোট ২৮১৮টি পরোয়ানা নিষ্পত্তি করা হয়।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ আবদুর রশিদ চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ বিপিএম (বার) স্যারের নির্দেশনায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সবসময় কাজ করছি। মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিংসহ সকল সামাজিক অপরাধ নির্মূলে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় জন সাধারণ কাছে সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
প্রতিবেদক: মাজহারুল ইসলাম অনিক, ১ জুন ২০২২