চাঁদপুর সদর

চাঁদপুর সদরের মৈশাদীতে ১৭ লাখ টাকার সোলার সিষ্টেম বাস্তবায়ন

বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশের অঙ্গীকারকে বাস্তবায়নের জন্য শেখ হাসিনা সরকার সৃজন বিডি. বাংলাদেশের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি গ্রামে গ্রামে সোলার সিস্টেম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। চাঁদপুর হাইমচর-৩ নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নের রুপকার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপির একান্ত প্রচেষ্ঠায় চাঁদপুর সদর উপজেলার ৬নং মৈশাদী ইউনিয়নের এ বছর প্রায় ১৭ লাখ টাকার সৌর বিদ্যুৎ চালিত সোলার সিষ্টেম বাস্তবায়ন করেছে। ইউনিয়নের বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তা স্থাপীত করেন জেলার শ্রেষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মানিক।

মৈশাদী ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য মতে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের চাঁদপুর সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের টিআর কাবিটা সোলার প্রকল্পের আওত্তায় প্রথম প্রর্যায়ে ১৫টি এবং দ্বিতীয় প্রর্যায়ে ১৫টি মোট দুই প্রকল্পে ৩০টি সোলার সিস্টেম বাস্তবায়ন করেছে মৈশাদী ইউনিয়ন পরিষদ। প্রথম প্রর্যায়ের ১৫টি ইতিমধ্যে কাজ সমাপ্ত হয়েছে, দ্বিতীয় প্রর্যায়ের ১৫টি বাস্তবায়ন চলমান রয়েছে বলে মৈশাদী ইউপি সচিব আবু বকর মানিক জানিয়েছে। প্রতিটি সোলারের মূল্য ৫৬ হাজার ৪ শত ১০ টাকা। মৈশাদীর ৩০টি সোলারের মূল্য ১৬ লাখ, ৯২ হাজার ৩শত টাকা।

চলতি বছরের ৪ জানুয়ারী দুর্যো ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব, চাঁদপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক মোঃ ইসমাইল হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রতে চাঁদপুরের জন্য এ সোলার সিষ্টেম বরাদ্ধ দেওয়া হয়। চাঁদপুর সদরের ১৪টি ইউনিয়নের জন্য প্রায় ৮শতাধিক বিভিন্ন ওয়ার্ডের সোলার সিষ্টেম,সৌর বিদ্যুৎ বরাদ্ধ দেওয়া হয়। যার কাজ প্রায় শেষের দিকে রয়েছে। হিম শো ফাউন্ডেশান বাংলাদেশ সরকার এ প্রকল্পের কাজ করছেন, যা তধারকি করছেন ইট কল ও উপজেলা প্রশাসন।

চাঁদপুর সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার (পিআইও) মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকারের ভিশন ২০৪১ সালকে সামনে নিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ রুপান্তরের জন্য সরকার বিনা পয়সায় সোলার সিষ্টেম প্রকল্প চালু করেছে। সরকারের লক্ষ ধীরে ধীরে সর্ব ক্ষেত্রে সোলার সিষ্টেমে নিয়ে আসা, কারন সোলার সিষ্টেমে নিয়ে আসলে দেশের লোডশেডিং একে বারেই কমে আসবে, দেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে রুপান্তরিত হবে।
সরকারের সোলার সিষ্টেমের কাজ অত্যান্ত সুন্দর ও নিখুত ভাবে হচ্ছে। কারন প্রকল্পের কাজ অনুমোদন হওয়ার পর সরাসরি সরকারের নিয়োগকৃত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। আর সে কাজগুলো ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারগন তধারকি করেন। তারা তাদের ইউনিয়নের জন্য বরাদ্ধকৃত সোলার সিষ্টেমের কাজ সঠিক ভাবে করার জন্য সব সময় তাদের সাথে থাকে।

তিনি বলেন, এটা সরকারের মহতি উদ্যোগ, গ্রামের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে বিদ্যুৎতায়নে নিয়ে আসার জন্য সরকার সোলার সিষ্টেম চালু করেছে। সরকার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দিবে। ফলে দেশের মানুষের জীবন যাত্রার মান আরো উন্নত হবে। গ্রামঞ্চলের কমলমতি শিক্ষার্থীদের লোডশেডিংয়ের কবলে লাঘব হবে। ফলে দেশের শিক্ষার হার বৃদ্ধি পাবে। এ প্রকল্প চালু হওয়ার ফলে দুনীতির লাঘব টানা সম্ভাব হয়েছে। সোলার সিষ্টেম বাস্তবায়নে দুনীতি কোন সুযোগ নেই। কারন সরাসরি সরকার তাদের কাছ থেকে কাজ বুঝে নিচ্ছে। ফলে এ প্রকল্পে স্বচ্ছতা পুরটাই রয়েছে।

এ বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সুজন বিডি. বাংলাদেশের চাঁদপুর সদরের দায়িত্বরত ম্যানেজারের মুটোফোনে যোগাযোগ করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জেলার শ্রেষ্ঠ ও মৈশাদীর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মানিক চাঁদপুর টাইমসে জানান, চাঁদপুর হাইমচার উন্নয়নের রুপকার, চাঁদপুর হাইমচর-৩ নির্বাচনী এলাকার এমপি ডাঃ দীপূ মনির একান্ত প্রচেষ্টায় মৈশাদীতে উন্নয়ন কর্মকান্ড অব্যাহত রয়েছে। মৈশাদীর বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, বাজার ও গুরুত্তপূর্ণ স্থানে সৌর বিদ্যুৎ চালিত সোলার সিস্টেম বাস্তবায়ন অব্যাহত রয়েছে। প্রর্যায়ক্রমে ইউনিয়নের প্রতিটি স্থানে সৌর বিদ্যুৎ চালিত সোলার সিস্টেম বাস্তবায়ন করা হবে। এ জন্য মৈশাদীর আপামর জনতাকে একটু ধর্য্য ধারন করতে হবে।

তিনি আরো জানান, তিনি মৈশাদীর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দীপু মনি এমপির প্রচেষ্ঠায় একাধিক স্কুল, রাস্তা, ব্রিজ, কালভাট পাকা করন করা হয়েছে। কাঁচা রাস্তাগুলো সংস্কার কারা হয়েছে। ইউনিয়নের বাকী কাঁচারাস্তাগুলো পাকা করনের জন্য এমপি মহোদ্বয়ের কাছে তালিকা দেওয়া হয়েছে। প্রর্যায়ক্রমে তা ও বাস্তবায়ন করা হবে।

তিনি বলেন মৈশাদী ইউনিয়ন ইতিমধ্যে একটি মডেল ও আলোকিত ইউনিয়ন হিসেবে রুপান্তরিত হয়েছে। মৈশাদীতে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, ইপটিজিংকে না বলা হয়েছে। মৈশাদীর আপামর জনতার সহযোগীতা নিয়ে তিনি মৈশাদীতে একটি আলোকিত ও মডেল ইউনিয়ন গড়ে তুলবেন বলে জানিয়েছে।

নিউজ ডেস্ক
আপডেট সময় ৪:২০ ৯ জুলাই ২০১৮ সোমবার
কে .এইচ

Share