চাঁদপুর সদরের কল্যাণপুর-বিষ্ণুপুর সড়কটি দেড় বছর যাবৎ বেহাল অবস্থায় রয়েছে। প্রায় দেড় বছর ধরে সেলিম মেম্বারের বাড়ি হতে চৌ-রাস্তা দিয়ে হাসাদি প্রাথমিক স্কুল পর্যন্ত ১ কি.মি.সড়ক এখন চরম বেহালদশার মধ্যদিয়েই এলাকাবাসি বাবুরহাটসহ জেলা সদরে যাতায়ত করছে ।
পুরানো রাস্তার ওপরের অন্তত দিড় মিটার মাটি তুলে ফেলায় সড়কটি এখন চলাচল করতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ।
স্থানীয়রা জানায়, প্রায় দেড় বছর ধরে জনৈক সুলতান আহমেদ নামক একজন ঠিকাদার এ সড়কের কাজ নেন। তিনি রাস্তার মাটি তুলে এখন আর বাকী কাজ করছেনা। কাজের সাইটেও তিনি আসছেন না কিংবা তার কোনো প্রতিনিধিও নেই ।
গেলো অসময়ের বৃষ্টিপাতের সময় অটোরিকশা বা রিকশা কিংবা সাইকেল নিয়েও কোনো পথচারী চলাচল করতে পারে নি। কত টাকার বিনিময়ে তিনি কাজটি পেয়েছেন তাও কেউ বলতে পারছেনা ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল কাদের মেম্বার বলেন , ‘ কী কারণে ’ঠিকাদার দীর্ঘদিন যাবৎ কাজটি শেষ করছে না তা বুঝতে পারছে না । মানুষে কত কষ্ট হচ্ছে তা বলে শেষ করা যাবে না।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো.সেলিম বকাউল বলেন, ’ঠিকাদার প্রায় দেড় বছর ধরে কাজটি এভাবে ফেলে রেখেছে। দু’বারের মত তার কাজ সমাপ্ত করার মেয়াদ শেষ হয়েছে । তারপরও ঠিকাদার কাজ করছে না। এতে সাধারণ মানুষের ভীষণ দুর্ভোগ হচ্ছে। স্কুল,কলেজ,প্রাথমিক ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীগণ চলাচল করথে পারছেনা। স্থানীয়রা হাটে-বাজারে যেতে পারছেনা। কৃষিপণ্য দ্রব্য বাজারজাত না করতে পারায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বার বার মোবাইলে যোগাযোগ করেও তার সাথে কথা বলা যাচ্ছে না ।’
এদিকে কালির ভাংতি থেকে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো.সেলিম বকাউলের বাড়ি পর্যনÍ প্রায় আড়াই কি.মি সড়কের আরো বেহাল অবস্থা। সড়কটির বেশিরভাগই ইটের সলিং উঠে গেছে । বড় বড় গর্তের সৃষ্ঠি হওয়ায় কোনো প্রকার যান বাহন চলাচল করতে পারছে না । সড়কের এ বেহাল দশায় অটোরিকশা বা রিকশা অথবা সিএন জি গুলো স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছে না। ফলে স্থানীয়রা নানা দুর্ভোগের শিকার ।
প্রতিবেদক : আবদুল গনি
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৬:০০ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭, সোমবার
এজি