চাঁদপুর সদর

চাঁদপুর শিলন্দিয়ায় ব্রীজের অভাবে হাজারো মানুষের দুর্ভোগ

চাঁদপুর সদর উপজেলায় বাবুরহাট শিলন্দিয়া এলাকার একটি ছোট ব্রীজ নির্মাণ না হওয়ায় যাতায়াতে স্কুল, কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ সহ¯্রাধিক মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

বছরের পর বছর ধরে এলাকার জনগণ বাবুরহাট শিশু পরিবার জামে মসজিদ সংলগ্ন পূর্ব দিকে ব্রীজ নির্মাণ দাবি করে আসলেও তা উপেক্ষিত রয়ে গেছে।

এতে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা রয়েছে। মারাত্মক দুর্ঘটনার ঝুকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো ও বর্ষা মৌসুমে পরাপার করতে হয় বিদ্যালয়গামী ছোট ছোট বাচ্চাসহ এখানকার বাসিন্দারদের।

রোববার (৩০ অক্টোবর) ঘটনাস্থলে গেলে ক’জন স্কুল শিক্ষার্থী জানায়, ‘এভাবেই কষ্ট করে আমাদের এক হাতে বই আর এক হাতে সাঁকোর বাঁশ ধরে পাড়ি দিতে হয়। এখানে প্রায়ই সময় সাঁকো থেকে পড়ছে অসংখ্য লোক। আমাদের মধ্যেও রয়েছে কয়েকজন।’

ওই এলাকার ২ থেকে ৩ বর্গকিলোমিটার আয়তন জুড়ে কয়েকটি এলাকা অবস্থিত। সেখানে প্রায় ১০ হাজার মানুষের বাঁশের সাঁকোই একমাত্র যাতায়াতের জন্য রয়েছে। দীর্ঘ বছরের এই সাকোটি কবে কালবার্ড রূপে তৈরি হবে সেই স্বপ্ন দেখছেন স্থানীয়রা।

বরাবরই উন্নয়নের ছোয়া থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী। এখানকার মানুষ ব্যবসা-বানিজ্য, চাকরিসহ বিভিন্ন পেশায় নিয়জিত রয়েছেন। একটি ছোট ব্রীজের জন্য হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগ পহাচ্ছেন। যার ফলে সেখানকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারনে পিছিয়ে পড়েছে পড়েছে গ্রামগঞ্জের মানুষ। গত বছরের বন্যায় শতাধিক গ্রামীণ সড়ক ভেঙ্গে যায় এবার যেটুকো ছিল সেও ভেঙ্গে স্কুলগামী শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী বিপাকে পড়েছেন।

কালভার্ট না থাকায় সাঁকো দিয়ে চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় ক’জন জানান, ‘এখানে একটি ব্রীজ নির্মাণ হলে পৌরসভার ওয়ার্ডসহ দক্ষিণ পূর্ব দিকের শত শত সাধারণ মানুষের চলাচলের সুবিধা হতো। এছাড়াও সদরের ৫ থেকে ৬টি স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ অত্র এলাকার চাকরিজীবিসহ স্থানীয়দের যাতায়েত একমাত্র এ বাঁশের সাঁকো। সাঁকো দিয়ে পারপারের সময় প্রায়ই ছাত্র-ছাত্রীদের নানা দুর্ঘটনা ঘটেছে।

রাস্তা থাকলেও ব্রীজ না থাকার কারণে ওই রাস্তায় যান চলাচল করতে পারছে না। কতৃপক্ষের কাছে ভুক্তভোগীদের দাবি অচিরেই যেন ব্রীজটি নির্মাণ করে দেয়া হয়।

About The Author

প্রতিবেদক- শরীফুল ইসলাম
Share